OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বিজেপির গাজোয়ারির বনধ, ক্ষুব্ধ জনতা

বাম জমানায় যেভাবে বনধের নামে লালসন্ত্রাস চালানো হতো সেটাই আবার নন্দীগ্রামের বুকে ফিরে এসেছে গেরুয়া সন্ত্রাস হয়ে। ক্ষুব্ধ আমজনতা।
11:28 AM Dec 18, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: লাল জমানায় লাল সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে দেশের জমি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান(Epic Center of Land Movement) বাংলার(Bengal) পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার নন্দীগ্রাম(Nandigram)। আর নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) জমানায় তাঁরা দেখছেন গেরুয়া সন্ত্রাস কারে কয়। কার্যত সেখানে ঠুঁটি চিপে নিত্যদিন গণতন্ত্রকে হত্যা(Killing Democracy Daily Basic) করা হচ্ছে। তৃণমূলকর্মীদের বাড়ি থেকে খেদিয়ে দেওয়া, তাঁদের মারধর করা, খুন করার মতো ধারাবাহিক ঘটনা ঘটে চলেছে সেখানে। পুলিশ কিছু পদক্ষেপ করলেই ডাকা হচ্ছে বনধ। অর্থাৎ যা খুশি করার একটা পরিবেশ নন্দীগ্রামের বুকে কায়েম করে ফেলেছে পদ্মশিবির। এই যেমন এদিন অর্থাৎ সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই, সোনাচূড়া গ্রামে অনিদ্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সোনাচূড়ার বুকে বিজেপির সেই গাজোয়ারির বনধ। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, জোর করে দোকানবাজার বন্ধ করে, শাসানি দিয়ে, হুমকিধমকি দিয়্‌ মায় মারধর করেও চলছে বনধ। বাম জমানায় যেভাবে বনধের নামে লালসন্ত্রাস চালানো হতো সেটাই আবার নন্দীগ্রামের বুকে ফিরে এসেছে গেরুয়া সন্ত্রাস হয়ে।

নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত(Sonachura Gram Panchayat) এলাকায় প্রদীপ ঘোষ নামে এক তৃণমূল(TMC) কর্মীকে সম্প্রীতি বিনা কারণে মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। কার্যত তৃণমূল করার কারনেই তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। সোনাচূড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার পর তৃণমূল নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ সিদ্ধেশ্বর পাল নামে এক বিজেপি(BJP) কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার জেরেই এদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, বিনা অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই বিজেপি কর্মীকে। সপ্তাহ খানে আগেও বিজেপি কর্মীকে মারধর ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বনধ ডেকেছিল বিজেপি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখন কথায় কথায় বনধ ঢেকে এলাকা নিজেদের দখলে রাখার ফন্দী এঁটেছে পদ্মশিবির। সব মিলিয়ে আবারও রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম।

এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরেরই হলদিয়াতে সভা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। সেই সভাস্থল রবিবার রাতে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল। হলদিয়ার তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের তরফে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নদী থেকে গঙ্গাজল এবং নদীর পাড়ের মাটি দিয়ে সভাস্থল ‘শুদ্ধ’ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের দাবি, হলদিয়ায় শুভেন্দুর মিছিলে এলাকার কোনও লোক আসেনি। তাই সভা ভরাতে বাইরে থেকে লোক এনেছিল বিজেপি। এই শুদ্ধিকরণ নিয়ে হলদিয়া শহর যুব তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মালী জানিয়েছেন, ‘১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার মানুষকে টুপি পরাতে এসেছিল। পাপীর পায়ে হলদিয়ার পূণ্যভূমি অপবিত্র হয়েছে। সেকারণে তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে এখানকার মাটিকে পবিত্র করা হল। আমিত্ব ফলাতে এখানে এসেছিল। যতক্ষণ বক্তব্য রেখেছে ততক্ষণ আমি আমি করে গিয়েছে। দলের কথা বলেননি। মনুষের ভালোর কথা বলেননি। লাখ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল ফ্ল্যাগ বাঁধার জন্যে। যার দলের একটা কর্মী নেই ফ্ল্যাগ বাঁধার জন্যে। মিটিংএ হলদিয়ার একটাও লোক আসেনি। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে চটকদারি দেখাতে এসেছিল।’

Tags :
bengalBJPEpic Center of Land MovementKilling Democracy Daily BasicNandigramNarendra modiPurba MidnapurSonachura Gram PanchayatSuvendu AdhikariTmc
Next Article