For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

স্বাস্থ্যখাতেও এবার টাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, বন্ধ হতে পারে আশাকর্মীদের বেতন

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে টাকা পাঠানো বন্ধ করার হুমকি দিয়ে দিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। বন্ধ হতে পারে আশাকর্মীদের বেতন।
11:06 AM Nov 07, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
স্বাস্থ্যখাতেও এবার টাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের  বন্ধ হতে পারে আশাকর্মীদের বেতন
Courtesy - Google and Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির(BJP) তরফে আগেই একাধিকবার অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, কেন্দ্রের একের পর এক প্রকল্পের টাকায় বাংলায় নিজেদের নাম করা নানা প্রকল্প চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের প্রকল্পকেই বাংলায়(Bengal) নতুন নামে চালানো হচ্ছে। মূলত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ সব থেকে বেশি প্রকট ভাবে ধরা পড়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে রাজ্যের সুস্বাস্থ্য প্রকল্পও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ডিং’ ঠিক মতো হলে এবং বিধিবদ্ধ নিয়ম মানা হলে পরবর্তী কিস্তির টাকা পাবে না রাজ্য। অর্থাৎ প্রচ্ছন্ন ভাবে টাকা বন্ধের হুঁশিয়ারি। এখন কেন্দ্রের কাছ থেকে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন(National Health Mission) প্রকল্পের খাতে রাজ্য সরকার প্রতিবছর ১৮০০ কোটি টাকা পায়। এর মধ্যে রাজ্যের ৬০ হাজার আশাকর্মীর(Asha Workers) বেতনও থাকে। যদি আগামীদিনে কেন্দ্র এই খাতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় তাহলে আশাকর্মীদের বেতনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা ছড়িয়েছে নবান্নের অন্দরে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র মনে করছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে বাংলায় তাদের নির্দেশিকা কোথায় আংশিক ভাবে, কোথাও আবার পুরোপুরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অনুদানের ওপর ভিত্তি করে দেশে Ayushman Bharat-Health and Wellness Center চালু হয়েছে, যেখানে প্রাথমিক, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো মজবুত করা হচ্ছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এই কেন্দ্রগুলিকেই ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামে চালাচ্ছে। কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-এর সঙ্গে Health and Wellness Center কথাটি ব্যবহার করতে রাজি হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে Ayushman Bharat কথাটি যুক্ত হয়নি। আবার রাজ্যের পরিকাঠামোগুলির রং নীল-সাদা। যদিও কেন্দ্রীয় বিধিতে সেই রং হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন। লোগো নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিধি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পগুলির ‘ব্র্যান্ডিং’-ই মেনে চলতে হবে।

Advertisement

গত ৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা নেহা গর্গ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় Ayushman Bharat-Health and Wellness Center’র অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিধিগুলি তাতে মানা হচ্ছে কি না, তা-ও বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা রাজ্যে পরিকাঠামোগুলি ঘুরেও দেখেছেন। রাজ্যে ১০ হাজার ৬৩২টি পরিকাঠামোর মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৯২৯২টির ছবি পোর্টালে আপলোড করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, প্রকল্পের কেন্দ্রীয় বিধি অনুযায়ী আংশিক ‘ব্র্যান্ডিং’ মান্যতা পেয়েছে। প্রকল্পের খরচ সংক্রান্ত বিধিতে পরিকাঠামোগুলি যে রঙের হওয়ার কথা বিধিবদ্ধ ছিল, তা মানা হয়নি। ফলে মিশনের পরবর্তী বরাদ্দ নির্ভর করবে বিধিগুলি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তার ওপর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমেই রাজ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি পরিচালিত হয় এবং আশাকর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। প্রতি বছর এই খাতে ৩ হাজার কোটি টাকার দরকার পড়ে যার মধ্যে ১৮০০ কোটি টাকা দেয় কেন্দ্র সরকার, বাকি ১২০০ কোটি টাকা দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার আশাকর্মী এখন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বেতন পান।

সেই হিসাবে এখন কেন্দ্র সরকার যদি টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় তাহলে রাজ্যের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিচালনা করার বিপুল ব্যয়ভার যেমন রাজ্যের ঘাড়ে চাপবে তেমনি চাপবে আশাকর্মীদের বেতন দেওয়ার দ্বায়িত্বও। এমনিতেই রাজ্যের ভাঁড়ারে এখন অর্থের টানাটানি চলছে। এর মধ্যে যদি বাড়তি ১৮০০ কোটি টাকার দায়ভার নতুন করে রাজ্যের ঘাড়ে এসে পড়ে তাহলে জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের অবশ্য তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা ট্যুইট করে জানিয়েছে, ‘সাধারণ মানুষের বরাদ্দ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আটকে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে শায়েস্তা করতে চাইছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তিনি অজানিয়েছেন, ‘একটা স্বাস্থ্য পরিষেবা ভবনের রঙের ওপর নির্ভর করে? সেটা পাওয়া মানুষের অধিকার। রং তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নির্লজ্জ ভূমিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়টা রাজ্যের তালিকাভুক্ত। এই দখলদারি সংবিধান বহির্ভূত।’

Advertisement
Tags :
Advertisement