যুবভারতীতে দেশের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ সুনীলের, জয় অধরা ব্লু ব্রিগেডের
নিজস্ব প্রতিনিধি: নীল জার্সি গায়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেললেন সুনীল ছেত্রী। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় এনে দলের অধিনায়ককে শেষ বিদায় জানাতে পারল না ইগর স্তিমাচের ছেলেরা। গোটা ম্যাচে লিস্টন কোলাসোদের ছন্নছাড়া ফুটবল দেখে মন খারাপের যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৬০ হাজারের বেশি দর্শক।
গত মাসেই আচমকা আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সুনীল ছেত্রী। ভারত অধিনায়কের শেষ ম্যাচের সাক্ষী থাকতে যুবভারতীতে ভিড় জমিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু শুরু থেকেই কুয়েতের লাগাতার আক্রমণের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারতের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রা। চার মিনিটের মাথাতেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল কুয়েত। মহম্মদ আবদুল্লাহ ভারতীয় রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গুরুপ্রীতকে ফাঁকি দিতে পারেননি। ৯ মিনিটের মাথায় কুয়েতকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন ভারতীয় দলের গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী-লিস্টন কোলাসো-আনোয়ার আলিরা। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। প্রথমার্ধে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফের গোলের জন্য ঝাঁপায় কুয়েত। আক্রমণের ধার বাড়াতে অনিরুদ্ধ থাপা ও সাহালকে তুলে নেন ভারতীয় কোচ স্তিমাচ। সাহালের বদলি হিসাবে নেমেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন রহিম আলি। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে সামনে একা কুয়েতের গোলরক্ষক পেয়েও তিন কাঠির অন্দরে বল রাখতে পারেননি। উল্টে অযথা সময় নষ্ট করে কুয়েতের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রাদের দুর্গ গড়ার সুযোগ করে দিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দুই দল খেলার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে মন্থর গতির ম্যাচ হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ। অধিনায়কের বিদায় ম্যাচে ভারতীয় দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়ই সারাক্ষণ মিস পাস করে গেলেন। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্যভাবেই শেষ হল ম্যাচ। যদি গুরপ্রীত বেশ কয়েকবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ না করতেন তাহলে হেরেই যুবভারতী ছাড়তে হতো লিস্টন কোলাসোদের। ভাগ্যিস তা হয়নি। এদিন কুয়েতের বিরুদ্ধে মৃআচ ড্র করে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছনো অনেকটাই কঠিন করে ফেলল ইগর স্তিমাচের শিষ্যরা।