For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

বান্ধবীকে পিটিয়ে খুন করায় সিঙ্গাপুরে ভারতীয়'র ২০ বছরের জেল

11:36 AM Apr 23, 2024 IST | Reshmi Khatun
বান্ধবীকে পিটিয়ে খুন করায় সিঙ্গাপুরে ভারতীয় র ২০ বছরের জেল
courtesy google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিঙ্গাপুরের একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবাহিত ব্যক্তি  অন্য পুরুষদের সাথে সম্পর্কের সন্দেহে তাঁর প্রেমিকাকে হত্যা করেছেন। তাঁর নাম এম কৃষ্ণান। বয়স ৪০ বছর। তিনি বেশকিছু দিন ধরে সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন। এই জঘন্য অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের জন্য এম কৃষ্ণান’ কে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বিরক্ত ছিলেন তিনি।তাঁর প্রেমিকা মল্লিকা বেগম রাহমানসা আব্দুল রহমানকে সজোরে ঘুষি ও লাথি মেরেছিলেন।১৭ই জানুয়ারী, ২০১৯ এ মারা যান প্রেমিকা।

Advertisement

সোমবার ‘টুডে’ পত্রিকা জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী কৃষ্ণান গত সপ্তাহে হাইকোর্টে তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। বিচারপতি ভ্যালেরি থিয়ান উল্লেখ করেছেন যে, অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাত, বা ২০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা বা বেত।

Advertisement

একইসঙ্গে বিচারপতি থিয়ান বলেন যে, ‘যদিও অপরাধের পরে তাঁর রোগ ধরা পড়েছিল। অভিযুক্ত জানত যে সে তার মেজাজ খুব বাজে।যা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।’  

যাতে তিনি আর কোন মহিলাদের বিরুদ্ধে তার বারবার গার্হস্থ্য নির্যাতন না করতে পারেন তাই  বিচারক কৃষ্ণানকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন। ২০১৫ সালে কৃষ্ণানের স্ত্রী কৃষ্ণান এবং তাঁর প্রেমিকা কে বৈবাহিক বাড়ির মাস্টার বেডরুমে অ্যালকোহল পান করতে ধরে ফেলেছিলেন।এরপর বিরক্ত হয়ে, সে কৃষ্ণানকে অশ্লীল কথা বলেছিলেন এবং তারপর কৃষ্ণান তাঁর মুখে ঘুষি মারে। তিনি তার দিকে অ্যালকোহলের বোতলটি ছুঁড়ে না মারেন সেই ভয়ে , স্ত্রী ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং পরে, তার বিরুদ্ধে একটি ব্যক্তিগত পুলিশ সুরক্ষার জন্য অ্যাপিল করেছিলেন।

জানা গেছে বেশকিছু সময় ধরে কৃষ্ণান এবং তাঁর প্রেমিকার মধ্যে ঝামেলা হত। মল্লিকা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। যখন তীব্র কথাকাটাকাটি হয় তখনই কৃষ্ণান প্রেমিকার ঘাড় ধরে তাকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে সে পড়ে যায় এবং তার মাথায় আঘাত করেন। পরের দিন মল্লিকাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসকেরা বেশকিছু ক্ষত পান মল্লিকার শরীরে। যখন প্রেমিকা মল্লিকা হাসপাতালে ছিলেন, কৃষ্ণান সারা দিন মদ্যপান করেছিলেন। রাতে কৃষ্ণান মল্লিকার বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং অন্য পুরুষের সঙ্গে মল্লিকার সম্পর্কের কথা জানান। এরপর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রাগান্বিত ও হতাশ হয়ে কৃষ্ণান আবার মল্লিকাকে আক্রমণ করেন।সে তাঁর মুখে থাপ্পড় মারে, তাঁর চুল ধরে তাকে ঘুষি ও লাথি মারে। বারবার লাথি মারার পরে,  কৃষ্ণান বুঝতে পারে মল্লিকা শ্বাস নিচ্ছে না।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে, তিনি মাথায় আঘাতের কারণে মারা গিয়েছিলেন, তার মাথার ত্বকে, তার ঘাড়ের পিছনে, মুখ এবং তার শরীরের চারপাশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পাশাপাশি তাঁর বেশ কিছু পাঁজর ভেঙ্গে গিয়েছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement