Newtown-এ HIDCO’র জমিবন্টন নিয়ে শুরু তদন্ত, মুখ্যমন্ত্রী নামালেন হরিকৃষ্ণকে
নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল জমানাতেই West Bengal Housing Infrastructure Development Corporation বা HIDCO’র চেয়ারম্যান হয়েছিলেন প্রাক্তন IAS আধিকারিক দেবাশিষ সেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর অবসরের পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে নিউটাউনে জমিবন্টন নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে। দেখা যায় সেই সব জমি বন্টন হয়েছে HIDCO’র মাধ্যমে আর সেটা দেবাশিষ সেন(Debasish Sen) চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়েই। আর সেই সব অভিযোগের জেরে এবার জমিবন্টন নিয়ে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই তদন্তের জন্য তিনি মাঠে নামাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব ও বর্তমানের অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে(Hari Krishna Dwivedi)। রাজারহাট - নিউ টাউন(Rajarhat Newtown) এলাকায় কোন সংস্থাকে কত জমি দেওয়া হয়েছে এবং তার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা নিয়েই তদন্ত করতে হবে হরিকৃষ্ণকে। কেননা জমি নিয়ে বরাবরই সংবেদনশীল থেকেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ভুললে চলবে না রাজ্যে জমি আন্দোলনের মাধ্যমেই বিরোধী পরিসর থেকে ক্ষমতার অলিন্দে পা রেখেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মূলত অভিযোগ এসেছে রাজারহাট - নিউ টাউন এলাকায় জমির চরিত্র বদল করে তার প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই তদন্তের জন্য তিনি শুধু হরিকৃষ্ণকে মাঠে নামাচ্ছেন তাই নয়, তিনি প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে নবান্নের কার্যালয়ে না থেকে হিডকোয় বেশি সময় দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন। হিডকোয় থেকে এই বিষয়গুলি অনুসন্ধান করে তাঁকে রিপোর্ট দিতে হরিকৃষ্ণকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দেবাশিষ সেন হিডকোর চেয়ারম্যান থাকার সময়ে কী ভাবে, কাকে জমি দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন তিনি। জমির সদ্ব্যবহার হচ্ছে কি না, মমতা জানতে চান তাও। দেবাশিষ জমানায় নিউটাউনে কত জমি বণ্টন করা হয়েছিল, জমি কাদের বা কোন সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়েছিল তার তালিকা তৈরিও করা হচ্ছে। জমি বণ্টনে কোনও অনিয়ম হয়েছিল কিনা, তাও দেখা হবে। যদিও এ দেবাশিষ সেন জানিয়েছেন, ‘আমার সময়ে জমি বণ্টন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আর জমি যা বণ্টন হয়েছে, তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে। ফলে এতে আমাদের দায় নেই।’