রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জস বাটলারের চওড়া ব্যাটে নাইট বধ রাজস্থানের
নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান ইডেনে মঙ্গলবার রাতে ছিল আইপিএলের এক ও দুই নম্বর দলের লড়াই। ওই লড়াইয়ে এক নম্বর দল রাজস্থান রয়্যালস দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে সিংহাসন ধরে রাখল। বলতে গেলে জস বাটলার নামে এক বিদেশি ক্রিকেটার অতি মানবীয় ইনিংস খেলে একাই কলকাতার মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন। ৬০ বলে তাঁর অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস দীর্ঘদিন ধরে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে নাইটদের তাড়িয়ে বেড়াবে। প্রথমে ব্যাট করে সুনীল নারাইনের শতরানের সুবাদে ছয় উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করেছিল কলকাতা। জবাবে আট উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রাজস্থান।
অথচ এদিন রাজস্থানের ব্যাটিংয়ের শুরুতে মনেই হয়নি কলকাতা হারতে পারে। জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে খেলত্ব শুরু করেছিলেন রাজস্থানের যশস্বী জয়সোয়াল। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে বৈভব আরোরার বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি। হরষিত রানার বলে মাত্র ১২ রান করে ফিরে যান। এর পরে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে বিপদ সামাল দেন জস বাটলার ও রিয়ান পরাগ। দুজনে ৫০ রান যোগ করেন। রিয়ানকে (৩৪) ফেরান হরষিত রানা। পরের ওভারে ধ্রুব জুরেলকে (২) ফেরান সুনীল নারাইন। ১৩তম ওভারে বল কেরতে এসে রাজস্থানকে জোড়া ধাক্কা দেন বরুণ চক্রবর্তী। প্রথমে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (৮)। পরের বলে সিমরান হেইটমায়ারকে (০)। ১২১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রাজস্থান রয়্যালস।
এর পরেই ম্যাচের রম বদলে যেতে শুরু করল। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিধ্বংসী মেজাজে কলকাতার বোলারদের উপরে চড়াও হলেন জস বাটলার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রোভম্যান পাওয়েল। দুজনে ২৭ বলে ৫৭ রান যোগ করেন। ১৩ বলে ২৬ রান করে নারাইনের বলে সাজঘরে ফেরেন পাওয়েল। পরের ওভারে রান আউট হয়ে ফিরে যান ট্রেন্ট বোল্টও (০)। রাজস্থান শিবিরে আর কোনও স্বীকৃত ব্যাটার ছিল না। তখনও সঞ্জু স্যামসনদের দরকার ছিল ১৫ বলে ৩৮ রান। ‘লড়েঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে’ নীতি নিয়ে তাণ্ডবলীলা চালাতে শুরু করলেন জস বাটলার। ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের শতরান পূর্ণ করলেন। শেষ ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। বরুণ চক্রবর্তীর প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান ইংলিশ ব্যাটার। পরের তিন বল ইয়র্কার দিয়ে রান আটকাতে সফল হন নাইট বোলার। পঞ্চম বলে দুই রান নেন বাটলার। শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে দলকে কাঙ্খিত জয়ে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন বাটলার।