হেড-অভিষেকের তাণ্ডব, দিল্লির বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ে হায়দরাবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্যাটিং তাণ্ডব কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে শনিবার তার সাক্ষী থাকল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের দর্শকরা। অজি ক্রিকেটার ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কুলদীপ যাদব পরিত্রাতা হয়ে আবির্ভূত না হলে আইপিএলের ইতিহাসে ফের একবার সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস গড়তে পারতেন প্যাট কামিংসরা।
এদিন টসে জিতে প্রথমে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। দুজনের হাতে নির্দয় মার খেয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করেন খলিল আহমেদ-মুকেশ কুমাররা। মাত্র ১৬ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে অর্ধশতরান তুলে নেন অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জেতানো হেড। ৫ ওভারেই ১০০ রানের গণ্ডি পার করে যায় হায়দরাবাদ। নির্দয়ভাবে মার খেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকে দিল্লির বোলারদের আত্মবিশ্বাস। শেষ পর্যন্ত সপ্তম ওভারে বল করতে এসে হায়দরাবাদ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তাঁর ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা (১২ বলে ৪৬)। ওই ওভারের শেষ বলে মাত্র এক রানে ফিরে যান আইডেন মার্করাম। জুটি ভেঙে যাওয়ায় খানিকটা নড়বড়ে হয়ে যান হেড। নবম ওভারে ফের বল করতে এসে অজি ক্রিকেটারকে আউট করেন কুলদীপ। সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ বলে ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ৮৯ রান করেন হেড। পরের ওভারে অক্ষর পটেলের বলে ফিরে যান হাইনরিখ ক্লাসেন (৮ বলে ১৫)।
পর পর উইকেট খোয়ানোর ফলে খানিকটা চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে ফের দিল্লির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আমেদ। যদিও ওভার পিছু রান কমে যায়। জুটি বেঁধে দুজনে ৬৭ রান যোগ করেন। নীতীশকে (২৭ বলে ৩৭) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কুলদীপ। এর পরে শাহবাজ আমেদ ও আবদুল সামাদ ঝড় তুলে বড় রানের ইনিংসের পথে দলকে নিয়ে যান। শেষ ওভারে ফিরে যান সামাদ (১৩) ও প্যাট কামিংস (১)। শাহবাজ ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দিল্লির পক্ষে কুলদীপ যাদব ৫৫ রানে চারটি উইকেট নেন। অক্ষর পটেল ও মুকেশ কুমার একটি করে উইকেট নেন।