গাজায় রাতভর ইজরায়েলের হামলা, নিহত কমপক্ষে ৭৪
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: রাতভর ইজরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় নিহত অন্তত ৭৪ জন। আহত হয়েছে শতাধিক। নিহতদের মধ্য় অধিকাংশই নারী ও শিশু এবং তারা উত্তর গাজার জাবালিয়া, সাবরা এবং খান ইউনিসের বাসিন্দা।
গাজায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইজরায়েলের(Israel) হামলার তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি গাজার(Gaza)। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল। নিহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মী। বন্ধ বিদ্যুৎ, জল ও জ্বালানি সরবরাহ। বহু হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালে রোগীর চাপ ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। এছাড়া হাসপাতালের জ্বালানিও প্রায় শেষ।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ প্য়ালেস্তাইনবাসী(Palestine) নিহত হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে ইজরায়েলের বোমা হামলায় দুটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন বহু প্য়ালেস্তাইনবাসী। এর আগে জাবালিয়ার আল- ইয়েমেন আল-সাইদ হাসপাতালের সামনে একটি গাড়িতে বিমান হামলা করে ইজরায়েল। তাতে নিহত ১৯ জন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। এছাড়াও গাজার পশ্চিমাঞ্চলের আল-সাবরা এলাকায় আটজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, পূর্ব খান ইউনিসের বানি সুহাইলা শহরের একটি বাড়িতে বোমা হামলার জন্য় নিহত(Death) শিশুসহ ১০ জন।
এমতাবস্থাতেও যুদ্ধ বিরতি চাইছে না ইজরায়েল। গাজাকে হামাস মুক্ত করতে প্রয়োজনে আরও জোরদার হামলা করতে প্রস্তুত ইজরায়েল। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে হামাস গোষ্ঠী গাজা থেকে ইজরায়েলের উদ্দেশ্যে রকেট হামলা চালায়। ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধসহ ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে পণবন্দি করে হামাস। তারপরেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তবে আশঙ্কা রয়েছে, এখনই সংঘর্ষ না থামলে, এর প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছে।