গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলির প্রবেশ, জ্বালিয়ে দেওয়া হল গাড়ি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইজরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে জেরুজালেম এবং রামাল্লার মাঝখানে অবস্থিত ফিলিস্তিনি শহরের কালাদিয়ায় প্রবেশ করেছে এক ইজরায়েলি নাগরিক।এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের(ফিলিস্তিনিদের) সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষ বাধে। ঐ ইজরায়েলি নাগরিককে ঘিরে উত্তপ্ত জনতা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে যে , ক্ষিপ্ত জনতা একজন ইজরায়েলির গাড়ি তাড়া করছে, গাড়িতে পাথর দিয়ে ঢিল মারছে। ইজরায়েলি ওই চালক পালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, ওই ইজরায়েল নাগরিকের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে গাড়িতে।
এই নিয়ে দেশটির(ইজরায়েলের)সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চালক একসময় এক সামরিক চেকপয়েন্টের কাছে এক ডিভাইডারের ধাক্কা মারে। তবে উদ্ধারের আগে সামান্য আহত হয়েছেন ওই চালক। তাঁকে উদ্ধার করে জেরুজালেমের শায়ার জেডেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীরের এই শহরটি ইজরায়েলের দখলে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে জেনিন শহরে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের সময় একজন সেনার মৃত্যু এবং অন্য একজন গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পশ্চিম তীর। হামলা পাল্টা হামলা লেগেই আছে।
তবে গাজার কোন স্থানই নিরাপদ নয় সব স্থানেই হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। শনিবার(২৯ই জুন)ইজরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের একটি জল বিতরণ পয়েন্ট লক্ষ্য করে, হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় একটি শিশু সহ আল-গাজি পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছে।
এই নিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন যে, গাজা শহরের শুজাইয়ার আশেপাশে ইজরায়েলের নতুন স্থল আক্রমণ কমপক্ষে ৬০,০০০ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে ৫০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা আট মাস পার হতে চলল। এখনও গাজায় হামলা বন্ধ করে নি ইজরায়েল। ইজরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটা অথবা দুটো পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে।