For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

CAA লাগু না হলেই ভাল হতো, মানছেন মতুয়াগড়ের বিজেপির নেতারাও

নাগরিকত্বের জন্য মতুয়ারা আবেদনই জানাতে চাইছেন না। আর তা দেখে বিজেপি নেতারাই প্রকাশ্যে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন, CAA লাগু না হলেই ভাল হতো।
09:51 AM Mar 21, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
caa লাগু না হলেই ভাল হতো  মানছেন মতুয়াগড়ের বিজেপির নেতারাও
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্বের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন এপার বাংলায়(Bengal) বসবাস করা মতুয়া(Matua) সমাজের মানুষেরা। সেই নাগরিকত্ব পাওয়ার টোপ দিয়েই বিজেপি(BJP) উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সমর্থন আদায় করেছিল। তার জেরেই বনগাঁ এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ফুটেছিল পদ্মফুল। সেই সমর্থন বজায় ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও। বনগাঁ এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতেই ফুটেছিল পদ্ম। যদিও সেই নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাননি মতুয়ারা। এখন লোকসভা নির্বাচনের মুখে যখন মতুয়া ভোট হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন তড়িঘড়ি করে কেন্দ্র সরকার লাগু করে দিয়েছে CAA বা The Citizenship (Amendment) Act, 2019। উদ্দেশ্য ছিল মতুয়া ভোট ধরে রাখা। কিন্তু বাস্তবের পরিস্থিতি কিছু ভিন্ন কথাই বলছে। নাগরিকত্বের জন্য মতুয়ারা আবেদনই জানাতে চাইছেন না। আর তা দেখে এখন মতুয়াগড়ের বিজেপি নেতারাই প্রকাশ্যে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন, CAA লাগু না হলেই ভাল হতো।

Advertisement

হিসাব কোথায় মিলছে না? বিজেপির ধারনা ছিল একবার যদি CAA লাগু হয়ে যায় তাহলে মতুয়ারা দুই হাত তুলে পদ্মেই ছাপ দেবে। সমর্থন জানাবে বিজেপিকে। মতুয়া ধর্মসমাজের প্রাণকেন্দ্রে ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে ঢল নামবে মতুয়াদের। সেই হিসাবই মিলছে না। মতুয়ারা এখন তাঁদের কাছে থাকা Aadhar Card, Voter Card, PAN Card, Ration Card মায় ভিটেমাটিটুকুও হারাবার ভয়ে CAA’র মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাতে চাইছেন না। কার্যত তাঁরা গোটা বিষয়টি এখন এড়িয়ে চলেছেন। এড়িয়ে চলেছেন ঠাকুরবাড়িও। যদিও মতুয়াদের টেনে আনার ও ধরে রাখার চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না মতুয়ামহলের বিজেপির নেতারা। ঠাকুরবাড়ি থেকে বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সই করা ‘মতুয়া কার্ড’-ও বিলি করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, এই কার্ড থাকলে আর কোনও পরিচয়পত্র নাকি লাগবে না। এই কার্ডের মাধ্যমেই নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়া সমাজের মানুষেরা। অনেকেই সেই কার্ড নিতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্য পদ নিচ্ছেন। কিন্তু সদস্য পদ নেওয়া মানেই বিজেপিকে ভোট দেওয়া এটা এখন আর চোখ বুজে মানতে পারছেন না পদ্মের নেতারা।

Advertisement

আর তাই, ভয় ধরেছে বিজেপি নেতাদের মনে। বনগাঁ আর রানাঘাটা ধরে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে রীতিমত সন্দিগ্ধ তাঁরা। সব থেকে বড় কথা উনিশ আর একুশের ভোটে বনগাঁ এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির স্বপক্ষে যে হাওয়া ছিল সেটাই এখন আর দেখা যাচ্ছে না। গোটা এলাকা এখন একদম থম মেরে গিয়েছে। কিন্তু ওই দুই নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারে যে ভিড় দেখা যায়নি, সেই ভিড়টা কিন্তু এখন তাঁদের প্রচারেই বেশি মাত্রায় চোখে পড়ছে। আর তাতেই হিসাব গুলিয়ে ফেলছেন পদ্মের নেতারা। মতুয়া মানেই নিশ্চিত বিজেপি ভোটার সেটা আর তাঁরা জোর গলায় বলতে পারছেন না। কার্যত তাঁরা স্বীকার করেই নিচ্ছেন, CAA লাগু হওয়া সব হিসাব গুলিয়ে দিয়েছে। মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছে। সবাই ভেবেছিল এই আইন লাগু হয়ে গেলে সাইবার ক্যাফেতে ভিড় উপচে পড়বে নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য। বাস্তবে সাইবার ক্যাফেগুলি মাছি তাড়াচ্ছে। আর এই ছবিই বলে দিচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুর এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জগন্নাথ সরকারের জয় কার্যত চূড়ান্ত অনিশ্চিত। দুই আসনেই তৃণমূল(TMC) জিতে গেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

Advertisement
Tags :
Advertisement