জলপাইগুড়ির গাজলডোবা ব্যারেজে জলের স্রোতের ভেসে গেল দুটি হাতি, চলছে অবিরাম বর্ষণ
নিজস্ব প্রতিনিধি,জলপাইগুড়ির: জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে দুটি হাতি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির গাজলডোবা ব্যারেজে।মঙ্গলবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। অন্যদিকে গাজল ডোবা এলাকায় হাতির একটি দল লোকালয়ে চলে যায় ।আচমকা গাজলডোবায় জল বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ জলে ভাসতে দেখা যায় দুটি দলছুট হাতিকে(Elephant)। ভাসতে ভাসতে তিস্তা বেড়ে যায় ৫ নম্বর গেট এলাকায় । সেখানে আটকে যায় হাতি দুটি। পরবর্তীতে গাজলডোবা(Gajoldoba) কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে সেই গেট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ।অন্যদিকে অন্য কোন গেটে আরো হাতি আটকে রয়েছে কিনা সে দিকে নজর রাখছে গজলডোবা কর্তৃপক্ষ সহ বনদফতরের আধিকারিকরা। এদিকে,গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গে এই বৃষ্টিপাত চলবে।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হয়ে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। দার্জিলিং কালিম্পং বিগত কয়েকদিন থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন টানা কয়েদিনের বৃষ্টির জেরে সিকিম(Sikkim) পাহাড়ে কিছুটা অংশ ধ্বসে পড়ে যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এখনো অবধি খবর পাওয়া গেছে, ৯১ জনেরও বেশি পর্যটক পাহাড়ে আটকে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নজর রাখছে রাজ্য সরকার। সরাসরি নবান্ন থেকে খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে তিস্তা(Titsa),তোর্সা সহ ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলি ।জল বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছে নদী উপকূল বাসীদের।গত ২৪ ঘন্টার কোচবিহারে মাথাভাঙাতে ২১৩ কিলোমিটার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ও কুমারগ্রাম ১৫০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি জারি থাকবে। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি চলবে।দার্জিলিং ও কালিম্পং - এ ভারী বৃষ্টি চলবে।
দক্ষিণবঙ্গের(SouthBengal) জেলাগুলিতে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।আগামী তিন চার দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ বঙ্গের জেলাতে প্রবেশ করবে।২৪ ঘন্টা পরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। এই বৃষ্টি হবে প্রাক বর্ষার । তবে দক্ষিণবঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত(Rain) এখনই নয়। এই বৃষ্টিপাতের ফলে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সব জায়গাতেই কমবে। বর্তমানে যে অস্বস্তিকর প্রতিবেশ রয়েছে, তার থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি মিলবে। এদিকে বুধবার সকালে দক্ষিণবঙ্গে আকাশের মুখ ছিল ভার। আকাশে ছিল মেঘের আনা গোনা। তবে ভ্যাপসা গরম জারি রয়েছে।