২ বছরের কন্যাকে গাড়িতে বন্দি করে ভিডিও, বিতর্কে ইনফ্লুয়েন্সার দম্পতি
নিজস্ব প্রতিনিধি: মর্মান্তিক! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্যে একজন চীনা ব্যক্তি তাঁর ২ বছরের সন্তানকে গাড়িতে ৩০ মিনিট বন্দি করে ভিডিও তুলল। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ইন্টারনেটে ব্যপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সবাই ওই ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেছে। ঘটনাটি ঠিক কী, খোলাসা করা যাক! সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, অভিযুক্ত জাপানি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারটির ইউটিউবে প্রায় ৫৮, ০০০ সাবস্ক্রাইবার। আর তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটির নাম "রৌনানো_ফ্যামিলি"। সেই চ্যানেলেই সম্প্রতি তিনি এবং তাঁর স্ত্রী, "মাই ডটার ট্র্যাপড ইন এ কার আন্ডার দ্য heat-wave" শিরোনামের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
তারপরই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। ভাইরাল হওয়ার জন্যে, নিজের সন্তানকে কোন বাবা-মা ব্যবহার করে, তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সন্তান প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছেই ঈশ্বরের সুন্দর উপহার। আর তাঁকেই কষ্ট দিচ্ছে বাবা-মা, আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা পড়লেই বাচ্চাটি মারা যেতে পারতো। ইউজারের কথায়, তিনি যেদিন ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন, সেদিন তিনি তার দুই বছর বয়সী মেয়েকে গাড়িতে নিয়ে কিন্ডারগার্ডেন থেকে ছেলেকে আনতে যাচ্ছালেন। যাত্রার সময় তিনি তাঁর দুই বছর বয়সী নানোকাকে গাড়ির পেছনের সিটে রেখে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর ছোট মেয়েটি পিছনের সিটের অন্য পাশে বসাতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাক্রমে নিজেকে গাড়ির ভিতরে লক করে ফেলেন। তখন তাঁর বাবা বাইরে। সেই সময়ে মেয়েকে দ্রুত সাহায্য বের করার পরিবর্তে ওই ইউজার তাঁর সন্তানের চিৎকার চিত্রিত করতে শুরু করেন। এবং বলতে থাকেন, "এটি একটি জরুরি অবস্থা! নানোকা গাড়িতে লক হয়ে গিয়েছে। সে বের হতে পারছে না!" এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই ব্যক্তি। ক্লিপটিতে, দুই বছরের শিশুটিকে গরম গাড়িতে ঘামতে এবং কাঁদতে দেখা যায়। এরপর তাঁর বাবা রেকর্ড শেষে পুলিশকে না জানিয়ে একটি লক ভাঙার লোককে ডাকেন এবং ছোট্ট মেয়ে নানোকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
আউটলেট অনুসারে, শিশুটিকে প্রায় আধা ঘন্টা গাড়ির ভিতরে বন্দি ছিল। তাঁর বাবা-মা তাঁকে গাড়ি থেকে বের করার পরিবর্তে তাঁকে গাড়িবন্দির ভিডিও তুলেছিল। তবে এখন মেয়েটি কেমন আছে জানা যায়নি। ভিডিওটি অনলাইনে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল যা দম্পতিকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে প্রভাবশালী দম্পতি পরে জানিয়েছেন যে, তারা এই ভিডিও তৈরি করার জন্য খুব দুঃখিত। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, "আপনার সন্তানের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনি যে অর্থ উপার্জন করেন তা কি ভাল?" অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, "তার বাবা-মা পাগল। আমিও একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, এবং সেই সময়ে, আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। আমি এতটাই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম যে মনে হচ্ছিল আমি বেঁচেও নেই।"