ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম ও মানিকচক: ভাঙলো ঘরবাড়ি প্রানে বাঁচলো দুটি পরিবার। চোখে মুখে আতঙ্ক। কেঁদে ফেললেন এক ব্যাক্তি। দিবা-রাত্রি হাতির তান্ডবে অতিষ্ঠ সাঁকরাইলের ছোড়দা খয়রাপাটি গ্রাম। গোটা রাত ভর হাতি হামলা চালায় ঝাড়গ্রাম জেলার(Jhargram District) সাঁকরাইলের ছোড়দা, খয়রাপাটি গ্রামে। হাতি তান্ডব চালিয়ে ভেঙ্গে ফেলে একের পর এক বাড়ি।তছনছ করে ফেলে পাঁচটি বাড়ি। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে কোনোরকমে প্রানে বাঁচলেনও গ্রামের দুই ব্যক্তি।
রবিবার রাত্রে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের(Sakrail Block) ছোড়দা, খয়রাপাটি এলাকায় তান্ডব চালায় দলছুট দাঁতাল হাতি। বাড়ি-ঘর ভাঙার পাশাপাশি ক্ষতি করে চাষের ফসল সহ সব্জিরও। বারংবার হাতি এলাকায় তান্ডব চালালেও এলাকায় আসেনা বনদপ্তর। বনদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। অভিযোগ হাতি তাড়ানোয় কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে না বনদপ্তর। মেলেনা ক্ষতি পূরণও। এলাকায় সারাবছরই হাতির দেখা মিললেও দেখা মেলেনা বনদপ্তরের(Forest Department) আধিকারিকদের। এলাকাবাসীরা চায় দ্রুত হাতি তাড়ানো ও ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক বনদপ্তর।
এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আট জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হল।মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় দিনের পরীক্ষা দিতে আসলেও পর্ষদের নির্দেশ মতো পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে। এই পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁসে যুক্ত তাই পর্ষদের নির্দেশ মত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম আজমিরা খাতুন। মানিকচক ব্লকের(Manickchak Block) গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ইংরেজি পরীক্ষার দিন এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে। এই ঘটনাই যুক্ত মোট ৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ।এই পরীক্ষার্থীরও গোটা ঘটনা যুক্ত থাকার অভিযোগ পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ পর্ষদের তরফে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। সোমবার তৃতীয় দিনের পরীক্ষা দিতে এই পরীক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসলেও পরীক্ষা বাতিল করার পাশাপাশি এডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেই জানা গেছে।