ঝাড়গ্রামে অন্নপ্রাশনে নিমন্ত্রিতদের উপহার চন্দন গাছের চারা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: রাত পোহালেই আষাঢ়ের সূচনা। অথচ ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা নেই। দু-ফোঁটা বর্ষার জন্য ঝাড়গ্রাম সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ চাতক পাখির মতো অপেক্ষায়। বৃষ্টি ঘিরে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও মিলছে না। আসলে পশ্চিমের শুকনো হাওয়ার দাপটে কোণঠাসা আকাশে ভেসে বেড়ানো জলভরা মেঘ। নির্বিচারে গাছ কাটার কুফল এখন তাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমজনতা। এমন আবহে বৃক্ষরোপনের অভিনব উদ্যোগ নিলেন ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার গোপীবল্লবপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা গোয়ালমারা এলাকার বাসিন্দা দেবদাস কর(Devdas Kar)। তিনি একজন পেশায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। এদিন ছিল বাড়িতে ছেলের অন্নপ্রাশন।
আর সেই ছেলের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে আমন্ত্রিতদের হাতে তুলে দিলেন একটি করে লাল চন্দন গাছের চারা। অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে লাল চন্দনের চারা উপহার পেয়ে অভিভূত আমন্ত্রিতরা। জানা গেছে ,ওই অন্নপ্রাশন্ন অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। আমন্ত্রিত প্রায় ৪০০ জনের হাতে এদিন এই লাল চন্দনের গাছের চারা(Red Sandel Tree) তুলে দেন বাবা। আর অভিনব উপহার তুলে দেওয়ার নেপথ্য কারিগর ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ পাল। চন্দনের মতো দামি গাছের চারা একদিকে যেমন গৃহস্থের বাড়তি যত্ন কেড়ে নেয়, তেমনি আর্থিক সমস্য়াও ভবিষ্য়তে লাঘব করতে পারে।
পরিবেশ দিবস সপ্তাহে দ্বিতীয় সন্তানের অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে এমনই বার্তা দিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লবপুর দু'নম্বর ব্লকের গোয়ালমারার বাসিন্দা দেবদাস কর। সকল নিমন্ত্রিত অতিথিরা এই ধরনের উদ্যোগের ভুয়সি প্রশংসা করেছেন। এদিকে যাকে ঘিরে এই অনুষ্ঠান সেই ছোট্ট শিশুটি ক্যামেরার সামনে ছোট্ট চারা গাছের দিকে তাকিয়ে হয়তো বলতে থাকে যাকে দেরিতে হলেও কিছুটা চৈতন্য হয়েছে সমাজের।