OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

হাইকোর্টে শেষ দিনে জেলার বিচারককে বরখাস্তের অনুরোধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিচারপতি হিসাবে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে শেষ বারের মতো বসেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ দিনেও দিলেন বড় চমক।
04:42 PM Mar 04, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি দুপুরে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, আগামী মঙ্গলবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন। যদিও আগামী অগাস্ট মাসেই ছিল তাঁর নির্ধারিত অবসরের দিন। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে যাচ্ছে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে। তিনি সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, সোমবারই হতে চলেছে বিচারপতি হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর শেষ দিন। তাই এদিন সকাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এজলাসে ছিল আমজনতা ও আইনজীবীদের ভিড়। সেই এজলাসে বসেই এদিন তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিচারককে বরখাস্ত(Dismissal of a District Judge) করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহুর্তের মধ্যে শোরগোল, কেননা শোনা যাচ্ছে তিনি রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন। যোগ দিতে চলেছেন পদ্মশিবিরে। আর সেই সূত্রে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার তমলুক থেকে নাকি পদ্মপ্রার্থী হতে পারেন। সেই জেলারই এক বিচারককে বরখাস্ত করার প্রসঙ্গ তুলে কার্যত হইচই ফেলে দিলেন তিনি। নজরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে নিজের এজলাসে ঢুকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে পারেন তাঁর হাতে যে মামলাগুলি ছিল সেগুলি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গতকাল জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই তাঁর হাতে থাকা মামলাগুলি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু এসে শুনলেন, তিনি ছাড়ার আগেই সেই মামলাগুলি অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যত তাতে কিছুটা ক্ষুণ্ণ হন তিনি, যদিও মুখে কিছু বলেননি। এরপরে এজলাস ছাড়ার আগে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিচারককে বরখাস্তের অনুরোধ জানান। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রিপোর্ট দেখে আইন অনুযায়ী সেই পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। একটি মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্টের ভিজিল্যান্স বিভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছে জেলার বিচারকের বিরুদ্ধে। আমি প্রধান বিচারপতিকে ওই রিপোর্টটি দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করব। ওই রিপোর্ট সত্যি প্রমাণিত হলে জেলা বিচারককে বরখাস্ত করা উচিত।’

কলকাতা হাইকোর্টে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে একটা আবেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এজলাসে বিচারপতির বসার পর এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের ছেড়ে যাবেন না।’ বিচারপতি বলেন, ‘আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অন্য কাজ রয়েছে।’ এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, ‘সব মামলা ছেড়ে দিচ্ছি, এটা লিখে দিন। পার্ট হার্ড ম্যাটারও ছেড়ে দিচ্ছি। একটা মামলা শুধু আমি দেখতে চাই।’ অন্য এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের জন্য কালো দিন।’ বিচারপতি সেই কথা শুনে বলেন, ‘এখানে আমার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন অন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর পরেই জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তখন এজলাসে এসে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে চান এক মহিলা। বিচারপতি বলেন, ‘পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম আমি নিই না।’ তখন ওই মহিলা বলেন, ‘তা হলে আশীর্বাদ করুন যাতে সঠিক বিচার পাই।’ তাতে বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘এক দিন না এক দিন যেতেই হবে।’ এক মহিলা জামশেদপুর থেকে এদিন এসেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতির ইস্তফার খবর জেনে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘কেন চলে যাচ্ছেন স্যর। এটা তো আমাদের কাছে মন্দির। চলে যাবেন না স্যর।’ বিচারপতি বলেন, ‘আমাকে চলে যেতে হবে।’

Tags :
Calcutta High CourtDismissal of a District Judge.Justice Abhijit GangopadhayPurba Midnapur
Next Article