নবদ্বীপে পাট বোঝাই লরিতে ভয়াবহ আগুন, এলাকায় চাঞ্চল্য
নিজস্ব প্রতিনিধি,নবদ্বীপ: পাট বোঝাই লরিতে আগুন ধরে গিয়ে তীব্র চঞ্চলের সৃষ্টি হল নদিয়ার নবদ্বীপে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নবদ্বীপ পৌরসভার(Nabwadip Municipality) ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীবাস অঙ্গন ঘাট এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে শ্রীবাস অঙ্গন ঘাট সংলগ্ন একটি পাট গোডাউন থেকে একটি লরি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে গাড়িতে পাট(Jute) বোঝাই করে। এরপর গাড়িটি গোডাউন(Gowdown) থেকে বেরোনোর সময় কোনভাবে রাস্তার উপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে চলে আসলে গাড়ি বোঝাই পাটে আগুন ধরে যায়। যার ফলে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। এলাকাবাসীরা একজোট হয়ে জল ঢেলে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।
পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। খবর পেয়ে দমকলবাহিনীর একটি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। পরে আরেকটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন দমকলবাহিনীর কর্মীরা। এছাড়াও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নবদ্বীপ পৌরসভার পুরপিতা বিমান কৃষ্ণ সাহা। গাড়ি বোঝাই পাটে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় প্রায় ৮৪ বেল পাট পুরে নষ্ট হয়ে যায়। আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে দমকলবাহিনীর এক আধিকারিক জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে পাট বোঝাই লরিটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন। পরে আরেকটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে,রঘুনাথগঞ্জ শহরকে দখলমুক্ত করতে প্রশাসন রাস্তায় নামলো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Bandopadhay) প্রশাসনকে কড়া হুমকি দেওয়ার পরে নড়েচড়ে বসলো জঙ্গিপুরের পুলিশ প্রশাসন। বুধবার রঘুনাথগঞ্জের ফুলতলা মোড় থেকে খড়খড়ি ব্রিজ পর্যন্ত নাজেহাল পরিস্থিতিতে পড়তে হয় দৈনন্দিন পথ চলতি মানুষ থেকে যানবাহনের চালক সকলকে। ফুলতলা ব্রিজ থেকে খড়খড়ি পর্যন্ত রাস্তার দুই ধার ধরে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীরা দখলে চলে গেলেও এতদিন কোনো হেলদোল ছিল না পৌর কর্তৃপক্ষের যার ফলে ওমরপুর লালগোলা রাজ্য সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । অবশেষে দিন দুয়েক আগে এই জবরদখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন প্রশাসন। তাই আজ কোমর বেঁধে নেমে প্রশাসন রঘুনাথগঞ্জ ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে দখল মুক্ত করলো। দখল মুক্ত করতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এদিন বেশ কয়েকটা অবৈধ ব্যাবসায়ীকে দখল মুক্ত করতে সম্ভব হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এই দখলমুক্ত কয়দিন ঠিক থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে প্রশাসন। কারণ এর আগেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলমুক্ত করা হয়েছিল। দখলমুক্ত হলেও ঘুরপথে পুনরায় সেই ফুটপাত দখলে চলে যায় ব্যবসাদের হাতে।