আন্তর্জাতিক উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তির শহরের তালিকায় কলকাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) মুকুটে জুড়ে গেল সাফল্যের নয়া আরও এক পালক। বিশ্বের আন্তর্জাতিক উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তির শহরের(International Emerging IT Cities List) তালিকায় ভারত(India) থেকে ঠাঁই পেল মাত্র ২টি শহর। একটি কলকাতা, অপরটি তিরুবনন্তপুরম। গতকালই কলকাতাকে দেশের নিরাপদতম শহর বলে চিহ্নিত করেছে National Crime Records Bureau বা NCRB। তাঁদের রিপোর্ট বলছে ২০২২ সালে দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি নিরাপদ শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কলকাতা। ২০২০ বা ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি মাফিক অপরাধের সংখ্যা কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) শহরে। এবার সেই সাফল্যের মুকুটে জুড়ে গেল আরও এক পালক। বিশ্বের আন্তর্জাতিক উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তির শহরের তালিকায় ঠাঁই পেয়ে গেল কলকাতা।
জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার ক্ষেত্রে এবং Software Development’র ক্ষেত্রে বিশ্বের যে সব শহর কার্যত হাব হিসাবে উঠে আসতে পারে সেই সম্পর্কিত একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডের গবেষক সংস্থা BCI Global এবং গবেষক Josefien Glaudemans’র নেতৃত্বে। সেখানেই বিশ্বের ৩টি প্রধান ভৌগলিক এলাকা থেকে ৮টি করে শহরকে তুলে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মধ্য ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে ৮টি শহর, ইউরোপ-মধ্য প্রাচ্য-আফ্রিকা থেকে ৮টি শহর এবং ভারত-চীন সহ এশিয়া প্যাসিফিক এলাকা থেকে আরও ৮টি শহরকে তুলে আনা হবে বলে ঠিক করা হয়। কিন্তু কোন কোন শহরকে তুলে আনা হবে সেটা ঠিক করার জন্যও একটা মাপকাঠি ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। শর্ত ছিল সেই শহরের জনসংখ্যা হতে হবে ১ মিলিয়ন বা ১০ লখের বেশি। সেই শহরে থাকতে হবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একাধিক জাতীয় সড়ক, পর্যাপ্ত আধুনিক যাতায়াত মাধ্যম যা ইতিমধ্যেই নির্মীত হয়েছে বা নির্মীয়মান পর্যায়ে রয়েছে, আম নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং শিল্প ও ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপদ পরিবেশ। এই সব শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করলে তবেই সেই শহরকে তুলে আনা হবে বিশ্বের আন্তর্জাতিক উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তির শহরের তালিকায়।
দেখা যাচ্ছে ভারত থেকেই এই সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছে মাত্র ২টি শহর। কেরলের তিরুবনন্তপুরম এবং বাংলার কলকাতা। এই দুই শহরকে তুলে আনার পিছনে আরও কিছু বিষয় অনুঘটক হয়ে ওঠে। তার মধ্যে অন্যতম হল এই দুই শহরের মনোরম আবহাওয়া। না অতি গরম, না অতি ঠান্ডা। অফুরন্ত শ্রম বাজার বা পর্যাপ্ত কর্মচারীর বাজার। ইংরেজিতে কথা বলার মতো দক্ষ শ্রমিক, কম খরচের শহর এবং শহরের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ভাল গুণমান ধরে রাখা। এই বিষয়গুলিও দুই শহরের পক্ষে গিয়েছে। কিন্তু এই তকমায় কলকাতার কী লাভ হবে? আসবে বিনিয়োগ। আর সেটাও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে। আর সেটাও ২৬ হাজার বিলিয়ন ডলার। নানা আন্তর্জাতিক বহুজাতিক সংস্থার হাত ধরে।