যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলের তিন জন স্কুল কন্যা পুরোহিত
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যাদেবী....নমহোস্তুত যখন পূজিত মা সরস্বতী। তখন পুরোহিত মেয় নয় কেন?সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠ(Jadavpur Vidyapith) স্কুলের ছাত্রীরা। তিন জন স্কুল কন্যা পুরোহিতের ভূমিকা পালন করে বিদ্যাদেবির পূজো অর্চনা করলেন তারা। মন্ত্র উচ্চারণ এবং নিয়ম রীতি নীতি মেনেই নিজেদের স্কুলের সরস্বতী পূজায় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করলেন ক্লাস ষষ্ঠ এবং সপ্তমের ছাত্রীরা। স্কুলের পুজোতে পুরোহিতের ভূমিকা পালন করে গর্বিত তারা। কারণ সমাজের তৈরি করা গণ্ডি পেরিয়ে তারা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
শুধু তাই নয়, একপ্রকারের প্রশ্ন তুললেন কেন শুধু পুরুষ পুরোহিতরাই পূজো দিতে পারবেন মহিলারা না নয় কেন? তবে এই দৃষ্টান্তের কারিগর হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম বৈদ্য । তার নির্দেশেই এই বছর পুরুষ পুরোহিতকে দিয়ে নয় স্কুলের ছাত্রী দের দিয়ে পূজো রীতি নীতি পালন করা হল। তবে প্রধান শিক্ষক চান যে ছাত্রীদের মানসত্ত পাঠ দিতে চান তিনি। তাই পরমাপারা রীতি নীতির তোয়াক্কা না করে নতুন অধ্যায় লেখা শুরু করল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্রীরা। পুজোর সমস্ত রীতি অনুযায়ী হমযজ্ঞ করেন এই তিন পুরোহিত কন্যা সহ একাধিক ছাত্রীরা। প্রত্যেক বছরের মত এই বছর ও স্কুলকে নিজের হাতে সাজিয়ে তুলেন ছাত্রীরা। অন্যদিকে,ভারত সেবাশ্রম সংঘে সরস্বতী পুজো হয়।
কলকাতার বালিগঞ্জে(Ballyganj) ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রণব ছাত্রাবাসে মহা সমারোহে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দূর দুরান্ত থেকে বহু মানুষ, ছাত্রছাত্রীরা পুজোয় অংশ নেয়। সঙ্ঘের সন্ন্যাসীরা সমবেত ভাবে মা সরস্বতীর কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেন। পরে ভক্তদের জন্য প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। পুজো পরিচালনা করেন সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ। পুজো করেন স্বামী বিমুক্তানন্দ মহারাজ।