ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার বাজারে হিট প্রদীপের আদলের মিষ্টি
নিজস্ব প্রতিনিধি,তমলুক: দীপাবলির পরে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। বাংলা ছাড়া গোটা দেশেই ভাই বোনের পবিত্র বন্ধনের উৎসব পালিত হয়। মিষ্টি ছাড়া কোন উৎসবের স্বাদ যেন পরিপূর্ণ হয় না। তাই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার মিষ্টির দোকানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরীর ধুম লাগে। তবে এ বছর ভাইফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতীয়ার বাজারে নানান ধরনের মিষ্টির মধ্যে অন্যতম হিট প্রদীপের আদলে তৈরি মিষ্টি (Lamp Sweets)। তমলুকের শহর পাশাপাশি শহরতলীর দোকানগুলি থেকে দেদারে বিক্রি হচ্ছে এই মিষ্টি। প্রদীপ মাঙ্গলিক অর্থে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। প্রদীপ ছাড়া অনুষ্ঠান বা উৎসব ভাবতেই পারে না সাধারণ মানুষ।
তাই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার বাজারে মিষ্টির দোকানে এসে গেছে প্রদীপ। তবে এই প্রদীপ জ্বালানোর জন্য নয় খাওয়ার জন্য। ক্ষীর ছানা ও মধু সহযোগে তৈরি প্রদীপ আকৃতির এই মিষ্টি ভাতৃদ্বিতীয়ার মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানকে আরও অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাত পোহালেই ভাইফোঁটা(Bhaifhota) তার আগে এদিন মিষ্টির দোকানে দোকানে প্রদীপ মিষ্টির বিক্রি শুরু হয়েছে। এমনি রসগোল্লা পান্তুয়া বা চমচমের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের আকৃতির মিষ্টি ও প্রদীপ মিষ্টি ভাইফোঁটার বাজারকে জমজমাট করেছে।এক মিষ্টি দোকানদারের কথায়, প্রতিবছর ভাতৃদ্বিতীয়া বা দীপাবলির সময় অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি চাহিদা থাকে নানান ধরনের মিষ্টির। দীপাবলি বা ভাতৃদ্বিতীয়ায় সবচেয়ে বেশি খোঁজ পরে প্রদীপের আকারের মিষ্টির। এই মিষ্টি তৈরিতে ক্ষীর ছানা মধু প্রয়োজন। মিষ্টি দেখতে অবিকল প্রদীপের মতো হয়। এই মিষ্টি তৈরি করতে সময়ও বেশি লাগে। তাই এই মিষ্টির দাম অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় একটু বেশি। মিষ্টির দোকানগুলিতে প্রতি পিস দশ টাকা থেকে ১৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে প্রদীপ মিষ্টি।
ভাইফোঁটার জন্য মিষ্টি কিনতে আসা এক মহিলা জানান, রসগোল্লা ক্ষীর মালাই বা অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি মিষ্টির দোকানে থেকে প্রদীপ মিষ্টি কেনা হয়। প্রদীপ উৎসব অনুষ্ঠানে মঙ্গল অর্থে ব্যবহৃত হয়। ভাতৃদ্বিতীয়া একটি মাঙ্গলিক ও পবিত্র অনুষ্ঠান। সেখানে অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি প্রদীপ মিষ্টি অন্য অর্থ বহন করে। দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য ভাইফোঁটায় প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্লেটে নানান ধরনের মিষ্টির প্রদীপ মিষ্টি এই পবিত্র অনুষ্ঠানকে ঐতিহ্যমন্ডিত করে তোলে। ফলে বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে প্রদীপ মিষ্টির চাহিদা ছিল তুঙ্গে।