ভর্তির ছবি নয় আশাব্যাঞ্জক, D.EL.ED. College-এ বাড়ল ভর্তির সময়সীমা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাআশঙ্কার দোলাচলে দুলছে বাংলার(Bengal) বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলি এবং সেখান ভর্তি হতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। কেননা বাংলার অধিকাংশ বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ(WBBPE) থেকে এখনও অনুমোদন পায়নি। আর তাই এখনই পড়ুয়ারা দলে দলে ওই সব বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলিতে ভর্তির আবেদন জানাচ্ছে না। এই বছর পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে D.EL.ED. Collegeগুলিতে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হবে না, তা ৩১ মে অবধিই থাকবে। কিন্তু ওই সব বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলিতে ভর্তির জন্য আবেদন খুব কম পড়ায় এখন পর্ষদের তরফে ভর্তির সময়সীমা(Last Date of Admission Extended) আরও ২ সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হল।
এবারে বাংলার D.EL.ED. Collegeগুলিতে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাড়িতে বসেই কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন জানানো যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভর্তির জন্র আবেদন করার হার মোটেও আশাব্যাঞ্জক নয়। বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলির তথ্য, ভর্তির ছবি বেশ উদ্বেগজনক। বহু কলেজেই কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে ৬জন-থেকে ৮জন আবেদন করেছেন। যদিও পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল(Goutam Pal) জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ আসনে আবেদন জমা পড়েছে। সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে আবেদন আরও বাড়বে। আসলে রাজ্যের D.EL.ED. Collegeগুলি আগামী দিনে পর্ষদের অনুমোদন পাবে কী পাবে না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আগ বাড়িয়ে তাই পড়ুয়ারা ওই সব কলেজে ভর্তি হতে চাইছেন না। তাঁরা অপেক্ষা করছেন কবে ওই কলেজ পর্ষদ থেকে অনুমোদন প্রাপ্তির খবর তুলে ধরে তার জন্য।
এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলির পরিচালন কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়া ভর্তির এরকম নিম্নহার বজায় থাকলে বেসরকারি D.EL.ED. Collegeগুলি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এমনিতে D.EL.ED. Collegeগুলিতে সরকার নির্দেশিত ফি হল ৯৬ হাজার টাকা। তার চেয়ে অনেক কম টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছে কলেজগুলি। ফলে শিক্ষকদের বেতন এবং অন্যান্য ব্যয় চালাতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে তারা। এর ওপরে রয়েছে অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা। তবে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৫৫০টি কলেজ পরিদর্শনের আবেদন জানিয়ে ২৫ হাজার টাকা ফি জমা দিয়েছে। এবার কোনও কারণে কলেজগুলি যোগ্যতামানে উত্তীর্ণ না-হলে সেগুলি যেসব পড়ুয়া বেছেছেন, তাঁরা অসুবিধায় পড়বেন। সেটা ভেবেই বাকি পড়ুয়ারা এখনই আবেদন করতে চাইছে না। তাঁরা অপেক্ষা করার নীতি নিয়েছে। তবে গৌতমবাবু জানিয়েছেন, পরিদর্শনে যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে না-পারলে সেই কলেজের পড়ুয়াদের অন্য কলেজে স্থানান্তর করা হবে। কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ায় তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। অবশ্য, পড়ুয়াদের চিন্তা, বাড়ির কাছাকাছি ভালো কলেজ পাওয়া নিয়েই।