For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের আওতায় বাম জমানার শিক্ষকরাও

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের আওতায় চলে এসেছেন বাম জমানায় স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়া Teachers-দের একাংশ।
09:37 AM Dec 14, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের আওতায় বাম জমানার শিক্ষকরাও
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: অতি লোভে গলায় দড়ি। আগে থেকেই তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার(School Teachers) চাকরি করছিলেন। কেউ বাড়ির কাছে আসার জন্য, কেউ উচ্চতর স্কেলে যেতে দ্বিতীয়বার School Service Commission বা SSC’র পরীক্ষায় বসেছিলেন। SSC একটা সময় জানিয়েছিল, কর্মরত শিক্ষকদের ফের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো মামলা লড়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি এনেছিলেন তাঁরা। অনেকে নতুন করে স্কুলে চাকরি পেয়েও গিয়েছেন। কিন্তু নিয়তির ফেরে তাঁরাও এখন ফ্যাসাদে পড়েছেন। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের(Investigation on School Teachers Recruitment Scam) আওতায় এসে গিয়েছেন তাঁরা। হয়রানি এড়াতে অগত্যা সেই আদালতেরই দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। নজরে বাম জমানায়(Leftfront Era) নিয়োগ পাওয়া স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।  

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জেরে ২০১৬ SLST’র ভিত্তিতে নিযুক্ত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। DI-রা স্কুলে স্কুলে গিয়ে সেই সব তথ্য সংগ্রহ করছেন। এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে সেই তথ্য পৌঁছবে স্কুলশিক্ষা কমিশনারের কাছে। শেষ পর্যন্ত সেই তথ্য তুলে দেওয়া হবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আগে থেকেই চাকরিরত এই শিক্ষকরা। স্কুলশিক্ষা দফতরের একটি হিসেব অনুযায়ী, এমন শিক্ষকের সংখ্যা ২২০০’র কম নয়।

Advertisement

২০১০ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১১ সালে একটি স্কুলে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন এক শিক্ষক। সেই স্কুলের দূরত্ব ছিল তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওই শিক্ষক উচ্চতর স্কেল এবং কাছাকাছি স্কুল পাওয়ার জন্য ২০১৬ SLST পরীক্ষায় বসেন। তার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে রসায়নের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে এমন শিক্ষকদের Pay Protection-ও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম স্কুলের চাকরিতে যোগদানের সময় থেকেই যাবতীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। এখন তাঁদের তথ্যও সংগ্রহ করছে স্কুল। জমা পড়ছে DI-য়ের কাছে।     

ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘২০ বছরেরও বেশি চাকুরিরত শিক্ষকরাও তালিকায় রয়েছেন। কোনও জেলা তথ্য জমা দেওয়ার সময় তাঁদের প্রথম জয়েনিংয়ের তারিখ উল্লেখ করে দিচ্ছে। আবার কোনও জেলায় তা করা হচ্ছে না। ফলে ধন্দ এবং উদ্বেগ বাড়ছে। তাই সবাই মিলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ SLST’র মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকদের Police Verification এবং Medical Test না হওয়ায় Confirmation-ও হয়নি। কিন্তু এক্ষেত্রে Confirmation Letter-ও চাওয়া হচ্ছে বিকাশভবন থেকে। সেটাও একটা উদ্বেগের বিষয়। আগে থেকে কর্মরত শিক্ষকদের যুক্তি, প্রথম চাকরির সময়ই তাঁদের Confirmation হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন চাকরির Confirmation letter তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সেটাও আদালতের কাছে তুলে ধরা হবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement