মেসির নাম নিয়ে অপহরণের হাত থেকে রেহাই ইজরায়েলি বৃদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, ‘রাখে হরি, মারে কে?’ তবে ইজরায়েলের বাসিন্দা নবতিপর ইস্টার কুনিওকে অপহরণের হাত থেকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নন, রক্ষা করেছেন ফুটবলের ঈশ্বর লিওনেল মেসি। গল্প নয়, এটাই সত্যি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের নাম বলেই দুর্ধর্ষ অপহরণকারীদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ইস্টার কুনিও। আর হাড়হিম করা সেই গল্পই সবাইকে শুনিয়েছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর আচমকাই ইজরায়েলে হানা দিয়েছিল ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা। একের পর এক ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের অস্ত্রের মুখে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল গাজায় নিজেদের আস্তানায়। কিবতুজ শহরে নবতিপর কুনিও’র বাসায় হানা দিয়েছিল হামাসের দুই সদস্য। অস্ত্রের মুখে কুনিও ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। আর তখনই তাৎক্ষণিক বুদ্ধি প্রয়োগ করে অপহরণের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান কুনিও। কীভাবে? বাকিটা শোনা যাক হামাস সদস্যদের মুখোমুখি হওয়া নবতিপর বৃদ্ধার কাছ থেকেই।
কুনিওর কথায়, ‘হামাসের এক সদস্য আমার মাথায় বন্দুক তাক করেছিল। হিব্রু ভাষায় কথা বলছিল। আমি খানিকটা সাহস করে ওই অস্ত্রধারীকে বললাম, আমি আর্জেন্টিনার নাগরিক। শুধু স্প্যানিশ বলতে পারি। হিব্রু ভাষা বুঝি না। ওই কথা শুনে হামাস জঙ্গি অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল- আর্জেন্টিনা কী? আমি তাকে বলি, তুমি কি ফুটবল দেখ?” সে আমাকে জানায়, সে ফুটবল পছন্দ করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে বলি, ‘আমি মেসির দেশ থেকে এসেছি।’ মেসির নাম শুনেই তার মুখটা কেমন হয়ে গেল। জানাল, সে মেসিকে ভালোবাসে। এরপর অস্ত্রটা নামিয়ে রেখে আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’ মেসির নাম করে নিজেকে অপহরণের হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও নিজের দুই নাতিকে বাঁচাতে পারেননি কুনিও। এখনও হামাসের ডেরায় রয়েছে দুজনে। নিজের প্রিয় নাতিদের হামাসের কব্জা থেকে মুক্ত করে আনতে লিওনেল মেসির কাছে অনুরোধও জানিয়েছেন কুনিও।