‘ইন্ডিয়া’ জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব মেলার দাবি খারিজ নীতীশ ঘনিষ্ঠের
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: তৃতীয়বার বিজেপি সরকারের ক্ষমতা দখল রুখতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের তরফে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। না, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কেউ নন, এমন দাবি জানিয়েছেন খোদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ‘পাল্টুরাম’ নীতীশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় ঝা। জেডিইউয়ের জাতীয় মুখপাত্র কে সি ত্যাগী এ বিষয়ে যে দাবি করেছেন, তার কোনও সারবত্তা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সঞ্জয়ের ওই দাবির ফলে ফের একবার সংযুক্ত জনতা দলের অভ্যন্তরীণ কলহ প্রকট হয়ে পড়ল।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাংসদের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে বিজেপি। ২৪০-এ থমকে যেতে হয়েছে দেশের ১০ বছরের শাসকদলকে। তবে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও এনডিএ’র শরিকদের সমর্থনে সরকার গঠনের মতো ম্যাজিক ফিগার পেয়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এনডিএ’র দুই শরিক দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও জেডিইউয়ের সমর্থনে আজ রবিবার তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।
আর ওই শপথ গ্রহণের ২৪ ঘন্টা আগেই জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগীর মন্তব্য। রাজনৈতিক ‘সুবিধাবাদী’ নেতা হিসাবে পরিচিত ত্যাগী দাবি করেছিলেন, ‘নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। যারা এক সময়ে তাঁকে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দিতে অস্বীকার করেছিলেন, তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি হননি নীতীশ।’ জেডিইউয়ের জাতীয় মুখপাত্রের এমন দাবি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় নীতীশ ঘনিষ্ঠ জেডিইউ নেতা সঞ্জয় ঝা-কে। শনিবার রাতে এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, ‘ইন্ডিয়া জোটের তরফে না নীতীশ কুমারের কাছে, না জেডিইউ নেতৃত্বের কাছে এমন কোনও প্রস্তাব এসেছে। কে সি ত্যাগী কোথা থেকে এমন আজগুবি এবং মনগড়া খবর পেলেন জানা নেই।’