ভোট সপ্তমীর সবচেয়ে ধনী ও গরিব প্রার্থীদের চিনে নিন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের অন্তিম তথা শেষ দফা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী শনিবার (১ জুন)। ওই দিন আট রাজ্যের ৫৭ আসনে ভোট গ্রহণ হবে। আর সেই সঙ্গে লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে ইভিএম বন্দি হবে ৯০৪ প্রার্থীর ভাগ্য। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসন থেকে লড়ছেন তিনি।
আগের ছয় দফার মতো শেষ দফাতেও ভোট ময়দানে কোটিপতি প্রার্থীর ছড়াছড়ি। ভোটের লড়াইয়ে থাকা ৯০৪ প্রার্থীর মধ্যে ২৯৯ জনই অর্থাৎ ৩৩ শতাংশই কোটিপতি। আর প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৩.২৭ কোটি টাকা। ৫ কোটি কিংবা তার চেয়ে বেশি সম্পত্তির মালিক ১১১ প্রার্থী। ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছেন তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি থেকে ৫ কোটি। আর ১০৪ প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পদের পরিমাণ ১ থেকে ২ কোটি।
শেষ দফার ভোটে সম্পদের নিরিখে সকলে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন শিরোমণি অকালি দলের হরসিমরাত কাউর বাদল। পঞ্জাবের ভাতিণ্ডা থেকে ভোট ময়দানে নামা অকালি দল প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৯৮ কোটি টাকা। সম্পদের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ার বিজেপি প্রার্থী বৈজয়ন্ত পাণ্ডা। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৮ কোটির বেশি। ধনী প্রার্থীর তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন চণ্ডীগড় আসনের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় টণ্ডন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১১১ কোটি টাকা।
তবে শেষ দফায় টাকার পাহাড়ে বসে থাকা ধর্ণাঢ্যরা যেমন ভোট ময়দানে নেমেছেন, তেমনই সামিল হয়েছেন কার্যত কপর্দকহীনরাও। যাদের স্থাবর সম্পত্তি বলে কিছু নেই। সবটাই অস্থাবর সম্পত্তি। অন্তিম দফায় সবচেয়ে গরিব প্রার্থী ভানুমতী দাস লড়ছেন ওড়িশার জগৎসিংপুর আসনে। উৎকল সমাজের হয়ে দাঁড়ানো ভানুমতী মাত্র দেড় হাজার টাকার মালিক। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে জন সেবা ড্রাইভার পার্টির হয়ে লড়ছেন রাজকুমার মেহরা। তাঁর সম্বল মাত্র আড়াই হাজার টাকা। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর আসনে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো বলরাম মণ্ডলও মাত্র আড়াই হাজার টাকার মালিক।