ব্রাজিল থেকে প্রেমের টানে সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে নবদ্বীপে হাজির প্রেমিকা
নিজস্ব প্রতিনিধি,নবদ্বীপ: ভালোবাসা বা প্রেমের টানে সাত সমুদ্র পাড়ি দেবার কথা তো অনেকেই শুনে থাকি। কিন্তু স্ব-চক্ষে তার সাক্ষী কি কেও থেকেছে?কিন্তু আজ আমি আপনাদের শোনাবো এমনই এক প্রেমের কথা। যে প্রেমের টানে (14,766 km) প্রায় পনেরো হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুদুর ব্রজিল থেকে নবদ্বীপে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হাজির হন ব্রাজিলের(Brazil) প্রেমিকা।কি ভাবছেন এও আবার হয় নাকি? হ্যা এমনটাই ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা এলাকার মন্ডল পরিবারে।নবদ্বীপ ব্লকের ফরেস্ট ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কার্ত্তিক মণ্ডলKartick Mandal), পিতা দিলীপ মন্ডল। কাত্তিক বাবু কর্মসূত্রে সুরাটে থাকেন। আর সেখানে থাকতেই চার বছর আগে সমাজ মাধ্যমে পরিচয় হয় সুদুর ব্রাজিলের বাসিন্দা 'ম্যানুয়েলা আলভেস দা সিলভা' এর সাথে ।
পরিচয় ধীরে ধীরে ভালোবাসার রূপ নেয় ও পরবর্তী সময়ে দুজনেই বিয়ের জন্য রাজী হন। কার্তিক মন্ডল জানান, এর পর প্রেমিকা এখানে আসে ও আমাদের বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। আগামী শুক্রবার হবে বিয়ে।আর সবটাই হবে সনাতনী তথা বাঙালি মতেই। ইতিমধ্যে বাড়িতে শুরু হয়েছে বিয়ের প্যান্ডেল বাধার কাজ সহ সমস্ত রকমের তোর জোড়। এলাকার ছেলের বউ হবে বিদেশীনি। সে কারনে প্রতিবেশীদেরও উৎসাহ ও কৌতুহল যথেষ্ট।কিন্তু পাত্রী তো ব্রাজিলের, সে ক্ষেত্রে ভাষার তারতম্য আছে কথোপকথন চলছে কিভাবে? প্রশ্নের উত্তরের মন্ডল পরিবারের সদস্যরা জানান, বর্তমানের আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই চলছে, অর্থাৎ সবটাই চলছে মোবাইলের(Mobile) প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে। পাত্রী ও তার ভাষায় আমাদের জানায় তার দেশে তার পরিবার এই বিয়েতে রাজি।
আর সেও রাজি৷ পাশাপাশি নবদ্বীপের মন্ডল পরিবারে এসেও তার ভালো লেগেছে। পাশাপাশি সে আরও জানায় সে শাড়ি পরতে ভালোবাসে। মন্ডল পরিবার জানায় তাদের বৌমা এখানে এসে বাঙ্গালি খাবার খাচ্ছে, তবে ঝাল ছাড়া, বাকি সব ঠিক ঠাক আছে।ভারত থেকে বহু মানুষ বিদেশে যায় বিভিন্ন কারনে। আর এবার সুদূর ব্রাজিল থেকে নবদ্বীপে(Nabwadip) বিয়ে করতে এসেছে পাত্রী নিজে, সে কারনে নবদ্বীপের মন্ডল পরিবার যেমন একাধারে আনন্দিত পাশাপাশি স্থানীয় দেরও কৌতুহল যথেষ্ট। অপেক্ষা শুধু চার হাত এক করে সানাইয়ের সুরের।