রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে জনতার সুনামি দেখল কলকাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে কত জনসমাগম হয়েছে তা নিয়ে আগাগোড়া ছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ। সকাল ১১ঃ০০ টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ লক্ষ লোকের জনসমাগম হয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুলিশের হিসেবে অনুযায়ী যেভাবে ৩২০ কোটি ফুট র্যাম্প তৈরি করে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তিনটি তাতে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী(CM) যখন সবার চলে উপস্থিত হন তখন ব্রিগ্রেডের(Brigade) ময়দান ছাপিয়ে জনতার ঢল চলে গিয়েছিল রেড রোড(Red Road) ও জহরলাল নেহেরু রোডের ওপর। কলকাতা পুলিশের(Kolkata Police) হিসাবঅনুযায়ী কলকাতা শহরে দিন এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ জনতার সমাগম হয়েছিল। এদিকে সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অভিষেক বলেন,দু’সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ব্রিগেডে সমাবেশের ঘোষণা করেছিলাম। বিগত দিনগুলিতে যত জনসভা হয়েছে, তৃণমূল বাদে যারা সভা করেছে, তার প্রস্তুতি নিতে ছ’মাস লেগেছে। আমরা ১২ দিনে করে দেখালাম।’রবিবার ব্রিগেডের জনসভায় দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Avisekh Banerjee)।
রবিবার সকাল থেকে এই সেন্টার লেভ রবিবার সকাল থেকে ব্রিগেডের জনসভার দরুন যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সেন্ট্রাল এভিনিউ, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ , ভূপেন বোস এভিনিউতে। পুলিশের হিসেবে অনুযায়ী ,এদিন ব্রিগেড সমাবেশে প্রায় চার লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। বিজেপি এই সমাবেশকে র্যাম্প- এ হাঁটার প্রতিযোগিতা বলে কটাক্ষ করেছে।ব্রিগেডে তৃণমূলের গর্জন সভা উপলক্ষে কলকাতা পুলিশ শহরে সমস্ত ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচল রবিবার ভোট তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে। যদিও এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় রান্নার গ্যাস শাক-সবজি ফল ও দুধ বহনকারী যানবাহনকে। এছাড়া ব্রিগেডের সভায় যারা গাড়িতে করে যোগ দিতে আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিং পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল সংলগ্ন আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড(AJC Bose Road) থেকে হেস্টিংস ক্রসিং পর্যন্ত এবং ক্যাপিটাল রোড, হসপিটাল রোড, ক্যাজরিনা এভিনিউ ও লাভার্স লেন এলাকায়। শহরে রবিবার ধর্মতলা ও ময়দান এলাকায় প্রাণ চলাচল ধর্মতলা ও ময়দান এলাকায় প্রাণ চলাচল ট্রাম চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ রাখা হয়।
ব্রিগেডের সভায় যারা উত্তর কলকাতা(North Kolkata) থেকে আসবেন তারা গাড়ি নিয়ে সেন্ট্রাল এভিনিউ হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত যাতায়াত করেন। যারা দক্ষিণ কলকাতা থেকে আসেন তারা আলিপুর চিড়িয়াখানা এলাকা পর্যন্ত যান। তারপর হেঁটে এগোতে হয় ব্রিগেডের দিকে। যারা হাওড়ার দিক থেকে মিছিল নিয়ে যান তারা স্ট্যান্ড রোড হয়ে রেড রোড দিয়ে প্রবেশ করেন ব্রিগেডের মাঠে। যারা বন্দর এলাকা থেকে আসেন তাদের দ্বিতীয় হুগলী সেতু ও আলিপুর রোড সংযোগস্থলে অব্দি আসতে দেওয়া হবে। তারপর হেঁটে ব্রিগেডের মাঠে প্রবেশ করতে হয়। রবিবার ব্রিগেডের জনসভার দরুন শহরের যে রাস্তা গুলি দিয়ে যান চলাচল ভোর চারটে থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত যাতায়াত করে সেই সংশ্লিষ্ট রাস্তা গুলি হল উত্তর থেকে দক্ষিনে যাওয়ার জন্য আমহার্ট স্ট্রীট, ব্রাবন রোড। দক্ষিণ থেকে উত্তরে গাড়িতে চেপে আসার জন্য যে রাস্তাগুলি খোলা ছিল সেগুলি হল কলেজ স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে উত্তরমুখী স্ট্যান্ডার্ডে হেয়ার স্ট্রীট থেকে রাজা উডমান্ড স্ট্রিট, বেন্টিক্স স্টিট নিউ সি আই টি রোড রবীন্দ্র সরণিতে বি কে পাল এভিনিউ(B .K. Pal .Avenue) থেকে লালবাজার স্ট্রিট ও বিধান থেকে বিবেকানন্দ রোড ধরে। রবিবার সকাল থেকে যে রাস্তা গুলি মিছিলে অবরুদ্ধ হল সেগুলি হল.......সেন্ট্রালএভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট , স্ট্যান্ড রোড, জহরলাল নেহেরু রোড লেলিন সরণী, কলেজ স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড , ডরিনা ক্রসিং, রানী রাসমণি এভিনিউ।