মালদহের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে ঘিরে টুকলি আটকাতে সতর্ক পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদহ: কখনও টুকলি সরবরাহ, কখনও আবার হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র বেরিয়ে আসার অভিযোগ প্রতিবছর সংবাদের শিরোনামে থাকে মালদহ। এ বারের মাধ্যমিকে সে ছবি রুখতে পর্ষদের পাশাপাশি সতর্ক জেলার পুলিশ প্রশাসনও।শুক্রবার মাধ্যমিকের প্রথম দিনে অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় । “এ বারের মাধ্যমিকে একাধিক নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। তবে, মালদহের জন্য বিশেষ ভাবে আরও কিছু সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মনিটরিং টিমের প্রতিনিধিরা হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে ঘুরবেন। অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির কর্তৃপক্ষদের প্রয়োজন মতো মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার জন্য বলা হয়েছে।”
প্রশাসনের দাবি, জেলায় ৪৪ হাজার ৪৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১৯হাজার ৪২৪ এবং ছাত্রী ২৫হাজার ৪৬৬জন রয়েছে। এ বারও জেলায় মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি রয়েছে। এ বার ১১৯ কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসায় ভোর পাঁচটা থেকেই জেলায় যান চলাচল শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি প্রশাসনের। তাদের দাবি, পরীক্ষার্থীদের পৌঁছতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত যান রাস্তায় নামানো হয়েছে। ফেরিঘাটগুলিতেও বাড়তি নৌকা থাকছে। এ ছাড়া প্রতিটি ব্লকে একটি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো হবে।
এরই সঙ্গে জেলায় মোতায়ন থাকছে বাড়তি পুলিশও। পুলিশের দাবি, ১৪জন ইন্সপেক্টর, ১৫৫ জন অফিসার, ২৯৩জন কনস্টেবল, ১২৩ জন মহিলা কনস্টেবল, ১৮০০ সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়ন থাকছে। এছাড়া ৩৭টি মোবাইল ভ্যান মোতায়ন থাকছে পরীক্ষার দিন গুলিতে। প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পুলিশের এসকোর্ট ভ্যানও থাকছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “মাধ্যমিকের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন থাকছে। ট্রাফিকের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।”