‘আমি ওই কুলোগুলো কিন্তু নিয়ে যাব, দারুন আইডিয়া’, শিল্পের প্রশংসায় মমতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ চৈত্র সংক্রান্তি। রাত পোহালেই নতুন বাংলা বছর। বছর শেষের এই দিনেই জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি(Dabgram Phulbari) বিধানসভা কেন্দ্রের জাবরাভিটা জুনিয়র হাইস্কুল মাঠে এক নির্বাচনী সভায় যোগ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে নির্মলচন্দ্র রায়কে(Nirmal Chandra Roy)। এদিন তাঁর সমর্থনেই মমতা সভা করেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে। ঘটনাচক্রে এদিন নেপালি নববর্ষ(Nepali New Year Day)। এদিন সভাতে আসার আগেই মমতা ট্যুইট করে সেই জন্য শুভেচ্ছা দেন রাজ্যের সব নেপালী ভাষার মানুষকে। তিনি লেখেন, ‘আজ, এই নেপালি নববর্ষ/নয়া বর্ষে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এবং ডুয়ার্স/তরাই অঞ্চলের আমি আমার সমস্ত নেপালি-ভাষী ভাই ও বোনদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের উত্সব আমাদের হৃদয়ে আনন্দ নিয়ে আসে। ভ্রাতৃত্বের একটি সাধারণ চেতনায় আমাদের সংযুক্ত করে। একসঙ্গে আমরা একটি নতুন বছরের উদযাপন করবো।’
এদিন মমতার সেই সভাতেই নেপালী ভাষার মহিলাদের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ে। দর্শক আসনের প্রথম সারিতেই বিভিন্ন জনজাতির মহিলারা ট্র্যাডিশনাল পোশাকে জমায়েত করেন। তাঁরা কুলোর মধ্যে বাংলা শব্দে লিখে আনেন, ‘শুভ নববর্ষ’। সেই অভিনব কায়দায় সকলকে শুভ নববর্ষ জানানোর পদ্ধতি নজর কাড়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীরও। তাই বক্তব্য রাখার সময় তিনি নিজেই মঞ্চ থেকে সেই শিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বলেন, ‘আমি কিন্তু কুলোগুলো নিয়ে যাব। খুব সুন্দর হয়েছে। একটা আমার বাড়তে রাখবো। আর পুজো কমিটিকে বলবো এই কাজটা তুলে ধরতে। শিলিগুড়িতে-জলপাইগুড়িতে খুব সুন্দর সুন্দর পুজো হয়। বেশ বড় বড় পুজো হয়। ওদের বলবো এই শিল্পটাকে তুলে ধরতে। আপনাদের ধন্যবাদ দেব এই সুন্দর আইডিয়াটা তুলে ধরার জন্য। এটাই আমাদের সংস্কৃতি। আমরা মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করি। আমাদের ধর্মটা, ভাষাটা, আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন আমাদের জীবনটা কিন্তু একই।’