ধূপগুড়িকে ধন্যবাদ, আদালতে আটকে মহকুমার স্বীকৃতি, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে যে আসন গিয়েছিল বিজেপির দখলে, সেই আসনই উপনির্বাচনে(Bye Election) গেরুয়া শিবির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি জেলার(Jalpaiguri District) ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের(Dhupguri Assembly Seat) উপনির্বাচনে বিজেপিকে(BJP) হারিয়ে সেই আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। সেই উপনির্বাচনের পরে এই প্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সময় বেশ বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল মহকুমার স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি। সেই স্বীকৃতি যে মিলবে সেটা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। উপনির্বাচনের ফল সামনে আসতেই রাজ্য সরকার ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করেছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ দেন ধূপগুড়ির জনতাকে।
এদিন অর্থাৎ সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে(Banarhat) সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধূপগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্মল চন্দ্র রায়কে জয়ী করার জন্য। আমরা কথা দিয়েছিলাম ধূপগুড়িকে মহকুমা করার। সেই কথা আমরা রেখেছি। আমাদের সরকার এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরেই। তবে এখানে একটা আদালতেরও ব্যাপার আছে। তাই আদালতে সেই স্বীকৃতি আটকে আছে। মুখ্যসচিবকে বলবো দ্রুত আদালত থেকে যাতে সেই স্বীকৃতি পাওয়া যায় তা দেখতে। আপানাদের খুব অসুবিধা হতো দূরের মহকুমা যেতে। তাই আমরা দ্রুত ধূপগুড়িকে মহকুমা করে দিয়েছি।’ এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন বানারহাটের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, বানারহাট আগে ধূপগুড়ি ব্লকেরই অংশ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে দাবি ছিল বানারহাটকে পৃথক ব্লক হিসাবে গড়ে তোলার। সেই আর্জিও রেখেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। বানারহাট এখন পৃথক ব্লক। সেই বানারহাটের জন্যই এদিন মুখ্যমন্ত্রী একটি দমকল কেন্দ্র ও ৩০ শয্যার একটি হাসপাতাল গড়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে হাতিনালার ড্রেজিং করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল অর্থাৎ রবিবার বিকালে বানারহাটে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বেড়িয়েছিলেন পায়ে হেঁটে জনসংযোগ সারতে। সেই সময়ে তিনি এলাকার একটি শীতলা মন্দিরেও যান। এদিন তিনি সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন, ওই শীতলা মন্দিরকে রাজ্য সরকার ১ কোটি টাকা দেবে গেস্ট হাউস নির্মাণের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর এইসব ঘোষণার জেরে রীতিমত খুশি হন বানারহাট ও ধূপগুড়িবাসী।