‘সবার উপরে মানুষের জীবন, যা যা করণীয়, সবটাই করব’, আশ্বাস মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি চিরকালই ছিলেন বাংলার(Bengal) মানুষের পাশে। এদিনও থাকছেন। বাংলার মানুষের পাশে থাকার জন্যই তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল(TMC) গড়ে তোলা। বাংলার মানুষের জন্যই আয়লার মাঝে নবান্নে সারা রাত জাগা। সেই বাংলার মানুষকে তিনি রিমলের আবহে আশ্বাস বাণী দেবেন না, তাও কী হয়। দিলেন তিনি আশ্বাস বার্তা। ‘আমি জানি, এই দুর্যোগে আপনারা চিন্তিত। আমরাও চিন্তিত। কিন্তু ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, আমরা সবটাই করবো। আমি বিশ্বাস রাখি, সকলের সহযোগিতায় এই ঝড়ও আমরা কাটিয়ে উঠব।’ নজরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোম দুপুরে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media) এসেছে এই আশ্বাস বার্তা। কেননা এখন যেহেতু লোকসভার নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লাগু আছে, তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘুরছিল, এই দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ কী আদৌ মিলবে! কার্যত সেই উদ্বেগের আঁচ করেই আশ্বাস বার্তা দিয়েছেন মমতা।
এদিন নিজের বার্তায় মমতা লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। প্রতিবছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এবারো সাইক্লোন রিমলের প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে। কিন্তু সবার ওপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। নিহতদের পরিবারবর্গকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই, তাঁদের নিকটজনের হাতে অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছাবে। ফসলের ও বাড়িঘরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণের বন্টন আইন-মোতাবেক প্রশাসন এখনই দেখে নেবে এবং নির্বাচনের আচরণবিধি উঠে গেলে আমরা এই সব বিষয় আরো গুরুত্ব দিয়ে পুরোটা বিবেচনা করব। নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্বস্তরে আমাদের প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার প্রস্তুত ছিল। মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে আমার রাজ্যের সম্পূর্ণ সচিবালয়, জেলা প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসন – দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলে সংহতভাবে সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় ১৪০০ শিবিরে সরানোর কৃতিত্ব আমাদের পুরসভা – পঞ্চায়েতগুলিরও। এজন্য আমি রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
কার্যত আয়লা আর আম্ফানের স্মৃতি এখনও ভোলেনি বঙ্গবাসী। অনেকেরই আশঙ্কা ছিল আয়লার মতোই তান্ডব চালাবে রিমল(Cyclone Rimal)। যদিও তা হয়নি। তবে এটাও ঘটনা যে প্রাণহানী সম্পূর্ণ রূপে এ রাজ্যে ঠেকানো যায়নি। রাজ্যের আনাচেকানাচে থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এই ঘূর্ণিঝড়ের দরুণ। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষকে নিশ্চিন্ত করতে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এদিন বিকেলের পর থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতির বদল ঘটবে। কারণ সেই সময় থেকেই ঝড়টি আরও খানিকটা শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং রাতের দিকে গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে।