For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘বাংলায় এসে মানুষকে মিথ্যে কথা বলেছেন, সঠিক তথ্য দিন, না হলে ক্ষমা চান’

তমলুকের প্রশাসনিক সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দাবি জানালেন - নয় মানুষকে সঠিক তথ্য দিন, না হলে ক্ষমা চান।
02:31 PM Mar 04, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘বাংলায় এসে মানুষকে মিথ্যে কথা বলেছেন  সঠিক তথ্য দিন  না হলে ক্ষমা চান’
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: নন্দীগ্রামের জেলাতে দাঁড়িয়েই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে(Prime Minister of India) নিশানা বানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of West Bengal)। দিন দুই আগেই বাংলায় জোড়া সভা সেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার তমলুকে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা। সেই সভা থেকেই তিনি তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রীকে। কার্যত তাঁকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলেন তিনি। কেননা প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে আবাস যোজনা নিয়ে যে সব কথা বলে গিয়েছেন, এদিন সেই সব দাবিকেই চূড়ান্ত ভাবে খন্ডন করেছেন মমতা। বলেছেন, ‘বাংলায় এসে মানুষকে মিথ্যে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলছে বাংলায় নাকি ৪৩ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। আমি বলছি পুরোটাই মিথ্যা। জবাব দিন। নয় মানুষকে সঠিক তথ্য দিন। আর না হলে ক্ষমা চান। প্রধানমন্ত্রী মানুষের কাছে ক্ষমা চান।’

Advertisement

একইসঙ্গে মমতা এদিন কেন্দ্রকে নিশানা বানিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন দিল্লি থেকে ভোটের সময় কিছু লোক আসে, সারা বছর এদের পাত্তা পাওয়া যায় না। কেউ মারা গেলেও পাত্তা পাওয়া যায় না। ভোটের সময় এসে বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্প নিয়ে বলছে টাকা আমরা দিয়েছি। কিন্তু আমরা ৭৫ শতাংশ টাকা আমরা দিই। আর ওরা এসে বলবে সব টাকা ওরা দেয়। এখন থেকে যা তুলে নিয়ে যায় তাই দেয়। মাছের তেলে মাছ ভাজে। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী এসে বলে গেলেন যে আমাদের নাকি তিনি ৪৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সম্পূর্ন মিথ্যে কথা। টাকা আটকে দেবে, আর বাংলায় এসে ভোট চাইবে। আমরা এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেখবো নাহলে মে মাস থেকে আমরাই আবাসের টাকা দেব। একসময় আইসিডিএস’র ৯০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দিত। এখন সেটা কমিয়ে দিয়েছে। এখন অধিকাংশ টাকা দেয় রাজ্য। ভোট এলেন এনআরসি, ক্যা ক্যা। নিশ্চিন্তে থাকুন আমরা এনআরসি করতে দেব না। এসে বলে, তারাই নাকি সব করেছে! আমি বলি, তোমরা কী করে করছ ভাই? হাজার টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল।’

Advertisement

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে তুমি ED-CBI পাঠাচ্ছো, আর যখন তুমি ক্ষমতায় থাকবে না, তখন মানুষ তোমাকে A টু Z পাঠাবে। নির্বাচন আসলে ঘরে ঘরে পুলিশ পাঠায়, উজালা পাঠায়। তারপর গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা পাঠিয়ে দেয়। দিল্লির জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করেছে। কালকেও ভিডিয়ো দেখেছি, খালি বলেছে, তৃণমূলকে পকড়াও। নির্বাচন আসবে, চলে যাবে। তারপর কিন্তু আমরাই এখানে থাকব। দিঘা তমলুক রেললাইন আমি করেছিলাম। বিজেপি বললেই হয় না। যত রেললাইন, এক লাখি বালুরঘাট, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা, যত স্টেশন, মেট্রো স্টেশন সব দিয়ে গিয়েছি। আর ফিতে কেটে বলছে বিজেপি করেছে। কাগজপত্র ঘাঁটুন দেখলেই বুঝতে পারবেন। ভোট আসলে উজ্জ্বালা, ভোট আসলে বাড়ি বাড়ি টাকা টোপ। টাকার দাবিতে অভিষেক আন্দোলন করেছে দিল্লিতে। গ্রেফতার করেছে সাংসদ বিধায়ককে। মনে রাখবেন আমরা থাকলেই সব পাবেন। আমরাই থাকবো এখানে, দিল্লির বাবুরা নয়।’

এদিন তমলুকের সভা থেকে কার্যত মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা জানান, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, তিনি নাকি ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, আর আমরা নাকি খেয়ে নিয়েছি, ঘরবাড়ি দিইনি। অঙ্কটা বলি, যদি কারোর কোনও সন্দেহ থাকে, চ্যালেঞ্জ করবেন। আমি সরকারের কথা বলছি, পার্টির কথা নয়। ২০১৪-১৫ থেকে  ২০২১-২২ সালে মনে রাখবেন কিছু কিছু স্কিম আছে, এখান থেকে যে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়, তার কিছু রাজ্যের অধিকার মতো দেয়। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ পর্যান্ত ২৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। গদ্দারদের বন্ধু যে প্রেসরা রয়েছেন, তারা ভাল করে লিখবেন। আপনারা তো আবার তাদের দোষ দেখতে পারেন না। রাজ্য সরকার দিয়েছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। আমাদের থেকে মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা বেশি দিয়েছে। ওই যে ২৯ হাজার আর ২০ হাজার, বলছে বাড়ি হয়নি। ৪৩ লক্ষ বাড়ি হয়েছে। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। স্বীকার করুন মিথ্যা বলেছি।’

Advertisement
Tags :
Advertisement