OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

নৃশংস, অমানবিক মোদি সরকার আটকালো শিশুসাথীর টাকা, পাশে শুধুই মমতা

নরেন্দ্র মোদির সরকার আর তাঁর দল বিজেপি এতটাই অমানবিক ও নৃশংস হয়ে উঠেছে যে শিশুদের জীবনের বাতি নিভিয়ে দিতেও বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হচ্ছে না তাঁরা।
03:52 PM Feb 06, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মায়ের আঁচলে ঢাকা ভুবন। Courtesy - Facebook.

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি করতে করতে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার আর তাঁর দল বিজেপি(BJP) এতটাই অমানবিক ও নৃশংস হয়ে উঠেছে যে শিশুদের জীবনের বাতি নিভিয়ে দিতেও বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হচ্ছে না তাঁরা। কার্যত খুনের মানসিকতা নিয়ে তাঁরা বাংলার শিশুদের জন্য বরাদ্দ টাকাও আটকে দিয়েছেন। মোদি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’(Rastriya Bal Swasthya Karyakarm) প্রকল্পের টাকা তাঁরা আর বাংলায় পাঠাবেন না। আর সেই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছিল জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে জন্মানো শিশুদের অভিভাবকদের। কেননা এই সব শিশুদের অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসার প্রাপ্য অর্থ বন্ধ করে দিয়ে মোদি সরকার আদতে বাংলার(Bengal) ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারকেই টাইট দিতে চাইছে। যদিও সেই নোংরা খেলায় যে বাংলার অগ্নিকন্যাকে পরাস্ত করা যাবে না সেটা নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলার নিজের মেয়ে। রাজ্যের কোষাগার থেকেই ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছেন বাংলার নিজস্ব শিশুসাথী(Sishusathi) প্রকল্পের জন্য। একই সঙ্গে এই প্রকল্পকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যাতে আগামী দিনে এই ধরনের সমস্যা আর না হয়।

জানা গিয়েছে, জন্মগত যে সব শিশুরা হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে জন্মায় তাঁদের চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্য কেন্দ্র সরকার ‘রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’ চালু করে এক দশক আগেই। সেটাও আবার ইউপিএ সরকারের শেষ দিকে ২০১৩ সালে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছরের নীচে থাকা শিশু ও কিশোরদের হৃদযন্ত্রের চিকিৎসা করা হয়। সেই খাতে কেন্দ্র সরকার দেয় ৬০ ভাগ টাকা আর বাকি ৪০ ভাগ দিতে হয় রাজ্যকে। এতদিন সেইরকমই চলছিল। রাজ্য সরকার এই রাজ্যে সেই প্রকল্প চালাচ্ছিল শিশুসাথী নাম দিয়ে। এখন মোদি সরকার সেই নাম নিয়েই আপত্তি তুলে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। আর তার জেরেই সমস্যায় পড়েছিলেন হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে জন্মানো শিশু ও কিশোরদের অভিভাবকেরা। কেননা টাকা না আসায় চিকিৎসা ও অপারেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এই অবস্থায় সহায় হলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা অবশ্য তাঁদের মতো করে অনেকবার চেষ্টা করছিলেন, যাতে কেন্দ্র টাকা পাঠায়। হকের টাকা চেয়ে স্বাস্থ্য ভবন দিল্লিকে কয়েকদফা চিঠি দিয়েছে। কিন্তু বরফ গলেনি। সাফ জানানো হয়েছে, ‘শিশুসাথী’র বদলে ‘রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম’ ব্র্যান্ডে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অন্যথায় প্রকল্পের ৬০ ভাগ টাকা বন্ধ থাকবে। এমনকী বিগত অর্থবর্ষে এই খাতে যত শিশুর চিকিৎসা হয়েছে তাও ‘রাষ্টীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ হেডে নতুন করে পাঠাতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য বকেয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

যদিও ঘটনা হচ্ছে শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে গত ১০ বছরে প্রায় ২৮ হাজার শিশুর চিকিৎসা হয়েছে বাংলায়। যা দেশের মধ্যে রেকর্ড। কিন্তু সেই রেকর্ডকে এখন রাজনীতির কাজে লাগানো যাচ্ছে না দেখে মোদি সরকার এই খাতে বাংলায় টাকা পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছে। কার্যত মোদি সরকার বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাংলার শিশু ও কিশোররা মারা গেলে তাতে তাঁদের কিছুই হবে না। এর আগে দেশের বুকে এত নৃশংস নিষ্ঠুর নির্মম অমানবিক সরকার আসেনি যারা শিশু ও কিশোরদের জীবন নিয়ে এভাবে নোংরামি করেছে। মন্দের ভালো বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও বেঁচে আছেন। তিনিই স্রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দেওয়ার পাশাপাশি শিশুসাথীকে স্বাস্থ্যসাথীর সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন। তাতে লাভ যে, এর ফলে জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে জন্মানো শিশু ও কিশোররা এবার থেকে রাজ্যের বা দেশের কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা পেতে পারবে।

Tags :
bengalBJPMamata BanerjeeNarendra modiRastriya Bal Swasthya Karyakarm.Sishusathi
Next Article