For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গজলডোবার ‘ভোরের আলো’র উন্নয়নে ৫১ কোটি টাকা

গজলডোবার ‘ভোরের আলো’র উন্নয়নে আরও ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে খুশ এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
03:49 PM Mar 14, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
গজলডোবার ‘ভোরের আলো’র উন্নয়নে ৫১ কোটি টাকা
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া ডুয়ার্সের(Dooars) পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কেননা উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বুকে বিশেষ করে ডুয়ার্সের মধ্যে অন্যতম সরকারি ট্যুরিজম হাব গজলডোবার(Gajaldoba) ‘ভোরের আলো’র(Bhorer Alo) উন্নয়নে আরও ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল অর্থাৎ বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে গজলডোবায় অর্থবরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি জেলায় বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল লাগোয়া তিস্তা নদীর পাড় ঘেঁসে তৈরি হওয়া এই পর্যটনকেন্দ্রটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারি রিসর্ট ছাড়াও বেসরকারি বাজেট হোটেলগুলিতেও প্রচুর ভিড় হচ্ছে। পর্যটনকেন্দ্রটি সাজাতে পাখিবিতান, নৌকাবিহার সমেত নানা সুবিধা চালু করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে থানাও। সব থেকে বড় কথা মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সের পর্যটন মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছেন গজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ তৈরি করে।

Advertisement

গতকালের সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্রটিকে আরও সাজানো হবে। সেই জন্য ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’ সেই সভার পরে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য খগেশ্বর রায় জানান, ‘ভোরের আলোয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে আরও কিছু পরিষেবা নিয়ে ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সেগুলিই এ বার রূপায়ণ করা হবে।’ তিনি এই কথা জানান এই কারণে যেহেতু গজলডোবায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির কথা ভাবা হলেও, সেই কাজে এখনও হাত পড়েনি। তেমনই পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভোরের আলোয় কনফারেন্স হল, ওয়েলনেস সেন্টার, রেস্তরাঁ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বরাদ্দ টাকায় এই সমস্ত কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। গজলডোবার পর্যটনকেন্দ্রে রাজ্য সরকারের অর্থ বরাদ্দে খুশি ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।  

Advertisement

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, ‘গজলডোবায় যাওয়ার পথে করতোয়া নদীর ওপরে সেতু ভেঙে গিয়েছে। সেটির মেরামতি দরকার। আশা করি, এ বার জেলা প্রশাসন অর্থ বরাদ্দ করবে। তেমনই ভোরের আলোয় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং রেস্তরাঁও দরকার। তাহলে পর্যটকদের সুবিধে হবে।’ গজলডোবা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ি জেলার উন্নয়নেও দু’হাত উপুড় করে অর্থ বরাদ্দ করেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। ওই টাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য দু’টি পৃথক হস্টেল তৈরি করা হবে। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ শয্যার ১টি ওয়ার্ড তৈরি করা হবে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের জন্য ১০০ শয্যার দু’টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ওয়ার্ড তৈরি করা হবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement