OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মাস্টারস্ট্রোক মমতার, বন্ধ চা বাগানের ১৬ হাজারের বেশি শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা

উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ১৬টি চা বাগানের ১৬ হাজারের বেশি শ্রমিককে দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তা। সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
09:48 AM Feb 20, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বুক ঠুকে দাবি করে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে যত বন্ধ চা বাগান আছে তার সব খুলে দেবে কেন্দ্রের সরকার। সেই দাবির জোরেই চা বাগানের শ্রমিকেরা দুই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিলেন বিজেপিকে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র গিয়েছিল বিজেপির(BJP) দখলে। কিন্তু সেই ঘোষণার পরে ৫ বছর কেটে গেলেও এখনও সেই সব বন্ধ চা বাগানের সব খুলে যায়নি। যে কটি বন্ধ চা বাগান খুলেছে তার সবই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্য সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে। বিজেপি বা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার গত ৫ বছরে কিছুই করেনি এই বন্ধ চা বাগান খুলতে বা বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য কিছু করতে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আরও একটা লোকসভা নির্বাচন যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঠিক তখনই মাস্টারস্ট্রোক খেলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর নির্দেশে রাজ্যের শ্রম দফতর(Labour Department) জানিয়ে দিয়েছে, উত্তরবঙ্গে(North Bengal) দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ১৬টি চা বাগানের ১৬ হাজারের বেশি শ্রমিককে(Tea Garden Workers) দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তা(Financial Help)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে রাজ্যের শ্রম দফতর।

বন্ধ চা বাগার শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি বহুদিনের। কিন্তু এটা ঘটনা ভোটের মুখে সবাই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বললেও ভোটের পরে আর কারোর টিকির দেখা মেলে না। ব্যতিক্রমী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য চা-সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, বাড়ি নির্মাণের জন্য জমি ও টাকা দেওয়া, বিনা পয়সার রেশন, স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা তো আছেই, সঙ্গে আছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, মেধাশ্রীর মতো প্রকল্প – সবই দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। উত্তরবঙ্গে বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা ১৬টি। এমন বাগানের সংখ্যা বীরপাড়ায় সর্বাধিক, ৬টি। এরবাইরে দার্জিলিংয়ে ৫টি, মালবাজারে ৩টি এবং কার্শিয়াং ও শিলিগুড়িতে ১টি করে বাগান রয়েছে। বন্ধ হওয়ার সময় সেগুলিতে শ্রমিক সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি। আইন অনুসারেই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কথা। কিন্তু চা বাগানের মালিকেরা সেই পথে হাঁটা দেননি। তাই রাজ্যই এবার এগিয়ে এসেছে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে। আর সেই ঘোষণায় এখন রীতিমত  উচ্ছ্বসিত বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকেরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অনুদান বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরির বকেয়াও মেটাচ্ছে মমতার সরকার। এবার বন্ধ বাগানের চা শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে বসলেন। এমনিতেই উত্তরবঙ্গজুড়েই বিজেপি সংগঠন ভেঙে পড়ছে। এর মধ্যে মমতার মাস্টারস্ট্রোক কার্যত লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। এরই পাশাপাশি আরও একটি পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। চা বাগান মালিকদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠছে সেগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে নবান্ন। প্রয়োজনে বাগানের লিজ বাতিল করতেও পিছু হবে না রাজ্য সরকার। এদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এবং টি অ্যাডভাইজারি কমিটির সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন। সেখানে চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও আলোচনা হবে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ উঠছে যে তাঁরা বাগানের শ্রমিকদের পিএফ বকেয়া রেখে দিচ্ছেন দীর্ঘহদিন ধরে। এমনকি বাগানের চা গাছ উপড়ে অপরিকল্পিতভাবে বাগানের জমিতে রিসর্ট তৈরি করছেন। আর এই সব ঠেকাতেই রাজ্য সরকার চা বাগানের জন্য শীঘ্রই Standard Operating Procedure বা SOP চালু করতে চলেছে। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের অর্থনীতির অন্যতম মাধ্যম হল চা। ৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক জড়িয়ে আছে এই চায়ের অর্থনীতির সঙ্গে। অথচ সেই শ্রমিকদেরই পিএফের কোটি কোটি টাকা বকেয়া রেখে দিচ্ছেন বাগান মালিকেরা। কোথাও কোথাও মালিকপক্ষ আচমকা বাগান বন্ধ করে উধাও হয়ে যাচ্ছেন। বাগানের জমি নিয়েও বেআইনি কারবার চলছে। এই সব দেখেই মুখ্যমন্ত্রী এবার নির্দেশ দিয়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাম টানার। এদিন যে বৈঠক হবে সেখানে শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নারী ও শিশু এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, রাজ্যের আরেক মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক ও জিটিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। বৈঠকে চা বাগানের শ্রমিকদের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।

Tags :
BJPFinancial HelpLabour DepartmentMamata BanerjeeNarendra modinorth bengalStandard Operating ProcedureTea Garden Workers
Next Article