OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মমতার উদ্যোগে প্রাণে বাঁচলেন পরেশ পাল, এখন হাসপাতালে

মমতার বিচক্ষণতার দরুণ প্রাণে বাঁচলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। ব্রেন স্ট্রোক হতে হতে বাঁচলেন তিনি। আপাতত বিপদমুক্ত।
03:34 PM Jun 11, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) পরেশ পাল(Paresh Pal) প্রাণে বাঁচলেন দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উদ্যোগে। ব্রেন স্ট্রোক(Brain Stroke) হওয়ার আগেই রেহাই পেয়েছেন তিনি। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর বিপদও কেটে গিয়েছে। কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকালে। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য সেখানে দলের বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকেই হাজির ছিলেন পরেশ। কিন্তু পরেশের চোখমুখ দেখে মমতা বলে দেন, তৃণমূল বিধায়কের শরীরের ভিতর কিছু একটা চলছে। তার পরে কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) আর কলকাতা পুনিগমের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারদের দিয়ে পরেশকে পাঠান হাসপাতালে। দেখা যায়, তখন মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের। সময়ে চিকিৎসা না হলে ব্রেন স্ট্রোক অবধারিত ছিল। কিন্তু মমতার বিচক্ষণতায় এবারের মতো প্রাণে বেঁচে গেলেন পরেশ পাল।

জানা গিয়েছে, গতকাল নবান্নে মমতার ঘরে বৈঠক শুরুর মিনিট দশেক পর সেখানে পৌঁছান পরেশ পাল। বৈঠকে হাজির এক নেতার কথায়, ‘দিদি কখনও চেয়ারে বসে, কখনও হাঁটতে হাঁটতে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই পরেশদা ঢোকেন দিদির ঘরে।’ তখন পরেশকে দেখেই মমতা বলেন, ‘তোমার ভিতরে ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে। চোখমুখ দেখে আমার ঠিক লাগছে না।’ পরেশ অবশ্য দাবি করেন, তিনি ঠিক আছেন। তাঁর কোনও শারীরিক অসুবিধা বা অস্থিরতা হচ্ছে না। কিন্তু মমতা এ সব বিষয় ফেলে রাখেন না। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার এক জন চিকিৎসকের নাম করে আমলাদের নির্দেশ দেন, তিনি সেই মুহূর্তে কোথায় আছেন তার খোঁজ নিতে। খানিক ক্ষণের মধ্যেই সেই চিকিৎসক কোথায় আছেন জানা যায়। তার পরেই মমতা কুণালদের নির্দেশ দেন পরেশকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরেশদের সঙ্গেই নবান্নের ১৪ তলার সচিবালয় থেকে নীচে নেমে আসেন মমতাও। গাড়িতে পরেশকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন কুণাল এবং স্বপন।

সোমবার সন্ধ্যাবেলায় মস্তিষ্কে ‘স্ক্যান’ হয় পরেশের। তার পরে এমআরআইও করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সে সব পরীক্ষায় ধরা পড়ে, পরেশের মস্তিষ্কে অল্প অল্প করে রক্ত জমাট বাঁধছে। দ্রুত আইসিইউ-তে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে পরেশের শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইসিইউ থেকে তাঁকে কেবিনেও দেওয়া হয়েছে। আপাতত স্থিতিশীল পরেশ। তাঁর বিপদও কেটে গিয়েছে। পরেশের এই প্রসঙ্গে কুণাল জানিয়েছেন, ‘মমতাদির অসাধারণ পর্যবেক্ষণের জন্য বড় বিপদ থেকে পরেশদাকে রক্ষা করা গেল। কাল দেখলাম, তাঁর পর্যবেক্ষণ কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে গেল।’ প্রসঙ্গত, মানিকতলার উপনির্বাচন নিয়ে এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবারও বৈঠক রয়েছে নবান্নে। সেই বৈঠক বর্ধিত আকারে ডাকা হয়েছে। সেখানে কুণাল, অতীন, স্বপন ছাড়াও মানিকতলা বিধানসভা এলাকার অন্য কাউন্সিলরদেরও ডাকা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে পরেশ সেখানে যেতে পারবেন না। তবে পরেশের কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়া সব স্বাভাবিক রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর।

Tags :
Brain StrokeKunal GhoshMamata BanerjeeParesh Pal.TMC MLA
Next Article