মোদির ধ্যান নিয়ে কমিশনে নালিশ জানানোর হুঁশিয়ারি মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর: শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পরেই ট্র্যাডিশন মেনে কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আর ওই ধ্যান নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর হুমকি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বারুইপুরে যাদবপুরের দলীয় প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয়ে প্রচারে গিয়ে মোদির ধ্যান নিয়ে সরব হন মমতা। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘উনি নাকি দেবতার থেকেও বড় দেবতা। তাই যদি হয় তবে ওঁর ধ্যান করার কী প্রয়োজন? লোকেই ওঁর ধ্যান করবে।’ এর পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘প্রতি বার দেখবেন, নির্বাচনের শেষ দফার ৪৮ ঘণ্টা আগে কোথাও না কোথাও ঢুকে বসে থাকেন। আর লোককে দেখায়, ধ্যান করছি। প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে বসুন, তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু সেই ছবি টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো যাবে না। যদি কোনও টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় তাহলে ৩০ মে সন্ধে ৬টার পর প্রধানমন্ত্রীর ধ্যানে বসা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’
এদিনই কাকদ্বীপের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন সুন্দরবন সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ তৈরির টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিলেও সেই কাজ করেনি রাজ্য৷ বারুইপুরের সভায় সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে মমতযা বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বাঁধের জন্য একটা টাকাও দেয়নি কেন্দ্র৷ শুধু মিথ্যে কথা যখন বলেছেন, আপনাকেই তা প্রমাণ করতে হবে৷ নাহলে জনগণ আপনাকে ছাড়বে না৷’ গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি না দেওয়ায় মোদি সরকারকে নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা গঙ্গাসাগরে মেলা করি। মেলার জন্য ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। আজ পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করল না। মুড়িগঙ্গা সেতুটা ঠিক করার কথা বলেছি। কিন্তু কিছু করেনি।’ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার কথা বলে চলেছেন। এদিনের সভা থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বলেছেন, ‘বিজেপি নেতা-নেত্রীরা হুমকি দিচ্ছেন, তিন মাস পর বাংলার তৃণমূল সরকার ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় এসে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করবে। সাহস থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার ভেঙে দেখাক।’