For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ডিমডিমা থেকে চা-বাগানকে আজ বার্তা দেবেন মমতা

এদিন চা-বলয়ের সবাই তাকিয়ে ডিমডিমার সভার দিকে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী চা-বলয়কে কী বার্তা দেন সেই দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন।
10:26 AM Apr 15, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
ডিমডিমা থেকে চা বাগানকে আজ বার্তা দেবেন মমতা
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ডুয়ার্সের(Dooars) চা বলয় থেকে এবার গেরুয়া শিবিরকে উৎখাত করার সংকল্প নিয়েছে তৃণমূল(TMC)। সেই লক্ষ্যেই এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার(Alipurduyar District) মাদারিহাট ব্লকের(Madarihat Block) বীরপাড়া এলাকার ডিমডিমা চা বাগানের(Dim Dima Tea Garden) পাশে থাকা যাত্রা ময়দানে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এর আগে গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলারই কালচিনির নিমতির ইয়ং ক্লাব কর্নারের মাঠে জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রী ফের সভা করতে চলেছেন সেই আলিপুরদুয়ার জেলাতেই। নিমতির সভাতে মুখ্যমন্ত্রী চা বলয় নিয়ে খুব একটা সময় ব্যয় করেননি। তাই এদিন চা-বলয়ের সবাই তাকিয়ে ডিমডিমার সভার দিকে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী চা-বলয়কে কী বার্তা দেন সেই দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন। এদিন দুপুর ১টা থেকে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা রয়েছে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর আজকের সভায় শুধু মাদারিহাট বিধানসভাই নয়, ফালাকাটা ও নাগরাকাটা বিধানসভার কিছু অংশের তৃণমূল সমর্থকরাও যোগ দেবেন। কেননা এদিনের সভা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই এদিনের সভায় ধামসা-মাদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি চা শ্রমিকরা। হাজার হাজার চা শ্রমিক মুখ্যমন্ত্রীর সভার মাঠ এদিন ভরিয়ে দেবেন বলেই আশাবাদী আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ডিমডিমা চা বাগানের মাঠ থেকে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক ও চা বাগান নিয়ে নতুন করে কোনও বার্তা দেন কি না তা শুনতে শ্রমিকরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন। বন্ধ বাগান খোলার পাশাপাশি রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। শ্রমিকরা বাগানে জমির পাট্টা পেয়েছেন। ঘর তৈরির জন্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। প্রতিটি বাগানে ক্রেশ, পানীয় জল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেয়েছেন শ্রমিকরা। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ১৫০০ টাকা করে মাসোহারাও মিলছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, শুক্রবার কালচিনির নিমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তারই প্রভাব পড়েছিল। নিমতির সভায় শ্রমিকরা মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ডিমডিমার মাঠেও ঠিক একই ছবি মিলবে বলে মনে করছে তৃণমূল।

Advertisement

একদিকে পাট্টা ও চা-বাগানের জমির অধিকার। অন্যদিকে, চা-সুন্দরী ও অবসরকালীন বয়সসীমা বৃদ্ধি। পাশাপাশি চা শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি লাগু। এমনই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে উত্তরের চা বলয়ে জমজমাট ভোটের লড়াই। যুযুধান দু’পক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি। তাদের লড়াই মূলত কাজের বাস্তব বনাম নয়া প্রতিশ্রুতি ঘিরে। তৃণমূলের দাবি, চা-বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থ পূরণে বিভিন্ন পরিষেবা বাস্তবায়িত করেছে তারা। উল্টোদিকে, বিজেপির দাবি, চা-শ্রমিকদের প্রকৃত দাবিদাওয়া পূরণ না করে শুধু চমকের রাজনীতি করছে তৃণমূল। দু’দলের চাপানউতোরে জমে উঠেছে চা-বাগানের ভোট প্রচার। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট চা-বাগান কেন্দ্রিক। তা‌ই তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলেরই নজর চা বাগানের ভোটে। এই চা শ্রমিকদের রায়েই নির্ধারিত হবে আলিপুরদুয়ারের ভাগ্য। যদিও সেই লড়াইয়ে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে পদ্মশিবির। কেননা গত ৭-৮ বছর ধরে চা-বাগানের বিভিন্ন স্কিমে কেন্দ্রীয় অনুদান আসা পুরোপুরি বন্ধ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, এই টাকা টি-বোর্ডের মাধ্যমে চা-বাগানকে দিত দিল্লি।

যদিও টি-বোর্ড সূত্রে খবর, চা-বাগানের জন্য অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পই এখন বন্ধ। বহুদিন টাকা আসছে না। মূলত চা-বাগানের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন কাজে এই প্রকল্পের টাকা ব্যবহার করা হতো। এর মধ্যে উন্নত চা-গাছ রোপণ থেকে বাগানের বিদ্যুৎ, স্কুল, নিকাশি ব্যবস্থার মতো একাধিক প্রকল্প ছিল। সবক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ। টি বোর্ড সূত্রে দাবি, বর্তমানে একমাত্র ছোট চা-বাগানগুলির জন্য একটি প্রকল্প খাতায়-কলমে চালু রয়েছে। তবে এই প্রকল্পে শেষ টাকা এসেছিল বছর চারেক আগে। কেন অনুদান বন্ধ? এ প্রশ্নের জবাব নেই টি বোর্ডের। অন্যদিকে চা বাগানে তৃণমূলের নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য সরকার যে উন্নয়নমূলক পরিষেবা চা শ্রমিকদের দিচ্ছে, সেগুলিই তাঁরা বেশি করে প্রচার করছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধ থাকা নিয়েও তাঁরা সরব হচ্ছেন। চা­ শ্রমিকদের বোঝানো হচ্ছে, কীভাবে দিল্লির সরকার তাঁদের বঞ্চিত করছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement