For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরিতে দেশে প্রথম মমতার বাংলা

দেশের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। কেন্দ্রের অধীনস্থ NRLM’র তথ্য সেটাই বলছে।
10:25 AM Jan 11, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরিতে দেশে প্রথম মমতার বাংলা
Courtesy - Facebook and Twitter
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা। এবার দেশের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে বাংলা(Bengal)। সেই স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। শুধু তাই নয়, বাংলাকে তুলে ধরে কেন্দ্র দেশের সব রাজ্যকেই বার্তা দিয়েছে, নারীর ক্ষমতায়নে(Women Empowerment) তাঁরা যেন বাংলাকেই অনুসরণ করেন। মহিলারা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই প্রচেষ্টাকেই কার্যত স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র সরকারের রিপোর্ট। National Rural Livelihood Mission বা NRLM’র চলতি আর্থিক বছরে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী(Self Help Groups) তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে শীর্ষে আছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সব থেকে বড় কথা বাংলার এই উন্নয়নের ধারেকাছেও নেই বিজেপি শাসিত কোনও ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য।

Advertisement

২০১১ সালে পরিবর্তনের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দেন বাংলার মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার দিকে। সেই লক্ষ্যেই তিনি গ্রাম বাংলায় বেশি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলার ওপরে জোর দেন। তার জেরেই আজ বাংলা দেশের বুকে প্রথম স্থানে উঠে আসতে পেরেছে। গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা বা District Rural Development Cell যাকে অনেকেই DRDC বলে চেনে সেই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের অধীনে বার্ষিক মাত্র ২ শতাংশ হারে ঋণ প্রদান করা হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। একটি গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার ৬ মাস পর পদ্ধতি মেনে তাঁরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন অ্যাকাউন্টে শুরুতেই দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। পরে ঋণের পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়ে। আর এই ভাবেই ঋণ পেয়ে পেয়ে ক্রমেই আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে রাজ্যের মহিলাদের। ঋণ নেওয়ার পর সেই টাকা ব্যক্তিগতভাবে ভাগ করে কেউ পশুপালন করছেন, কেউ কাপড়ের ব্যবসা করছেন। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। স্বনির্ভর হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা।

Advertisement

NRLM’র তথ্য বলছে, রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে বাংলার পরেই রয়েছে পড়শি রাজ্য বিহার। সেখানে মোট ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার ২১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সব থেকে বড় কথা বাংলার থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে দেশের একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য। বাংলায় যেখানে ১ বছরে ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে সেখানে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ৭ লক্ষ ৩১ হাজার, মধ্যপ্রদেশে ৪ লাখ ৪৭ হাজার, গুজরাতে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার, ছত্তিশগড়ে ২ লক্ষ ৬২ হাজার এবং রাজস্থানে মাত্র ২ লক্ষ ৬০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এটাই মমতা ম্যাজিক বা মমতা মডেল। যাকে এবার অনুসরণ করার জন্য দেশের সব রাজ্যকেই বার্তা দিয়েছে মোদি সরকার।

Advertisement
Tags :
Advertisement