সৌজন্য বজায় রাখলেন মমতা, মোদি-শাহকে পাঠালেন আম
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ মিটে গিয়েছে। কেন্দ্রেও সরকার তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে নয় সরকারের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে(Amit Shah) বাংলার আম পাঠালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মোদি-শাহের পাশাপাশি তিনি আম পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার(Bengal) মালদা জেলায় চাষ হওয়া হিমসাগর, ল্যাংড়া, মল্লিকা এবং আম্রপালি, এই ৪ প্রজাতির ১০ কিলো করে আম(Mangoes) ঝুড়ি ভর্তি করে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক ময়দানে যত লড়াই বা বিরোধিতা থাক, বাংলার এই ফল পাঠিয়ে কার্যত সৌজন্য বজায় রাখলেন মমতা। সেই কারণেই প্রতিটি ঝুড়ির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে তাঁর নাম লেখা শুভেচ্ছা কার্ড। তবে এই প্রথমবার নয় যে মমতা মোদি-শাহকে আম পাঠালেন, এর আগেও তিনি দিল্লিতে আম পাঠিয়েছেন।
কেন্দ্রের সরকারের কাছ থেকে বাংলার প্রাপ্যের পরিমাণ কোটি কোটি টাকা। আটকে আছে আবাসের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা, গ্রামোন্নয়নের টাকা, রাস্তা তৈরির টাকা, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা এমনকি আটকে দেওয়া হয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকাও। সেই আবহে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি আসন উনিশের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া সরকারের মনোভাব কার্যত বলে দিচ্ছে, আসন কমলেও তাঁদের বাংলা বিরোধিতার মনোভাবে কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। বাংলার প্রতি তাঁরা তাঁদের বঞ্চনার আধিপত্য চালিয়ে যাবেন। তারপরেও মমতা সৌজন্যের আবহ বজায় রেখে আম পাঠিয়েছেন। যদিও সেই আম খেয়ে মোদি-শাহ গদ গদ হয়ে বাংলাকে টাকা পাঠানো শুরু করবেন, এতটা সম্ভবত অতিবড় অন্ধভক্তও বিশ্বাস করেন না। তাই মমতা যতই আম পাঠান না কেন বাংলার প্রাপ্তিযোগ যে চট করে আসবে না, সেটা ওয়াকিবহাল মহলও মনে করছে। তবে তৃণমূল শিবিরের দাবি, আম পাঠানোর সঙ্গে রাজনীতি বা আর্থিক কর্মকাণ্ডের কোনও যোগ নেই। এখানে রাজনীতি খোঁজা বৃথা।