OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

রাজ্যসভায় মমতাবালা, চাপে বিজেপি, নজরে এবার শান্তনু

মমতাবালাকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরের পদক্ষেপে যে মমতা শান্তনু ঠাকুরকে টানবেন না তার গ্যারেন্টি কী! চাপের মুখে বিজেপি।
05:08 PM Feb 11, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook, Twitter and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দিদিমণির খেলায় বাঘবন্দী দশা পদ্মের। এগোলেও বিপদ, পিছোলেও বিপদ। ভুয়ো নাগরিকত্বের টোপ দিয়ে বার বার মতুয়া ভোট যে পাওয়া যাবে না সেই বার্তা অনেক আগেই বাংলার মানুষ পদ্মশিবিরকে দিয়ে দিয়েছে। যদি নাগরিকত্বের টোপেই মতুয়া ভোট পুরোপুরি ভাবে হস্তগত হয়ে যেত তাহলে অন্তত একুশের ভোটের পরে এ রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতুয়া অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমায় এবং নদিয়া জেলার কল্যাণী ও রানাঘাট মহকুমায় মুখ থুবড়ে পড়ত না বিজেপি। বরঞ্চ বনগাঁ, গোবরডাঙা, রানাঘাট, কুপার্স ক্যাম্প, বীরনগর, তাহেরপুর, চাকদহ, কল্যাণী ও গয়েশপুর পুরসভা যেমন নিজেদের দখলে আনতো তেমনি বনগাঁ, কল্যাণী ও রানাঘাট মহকুমার অধীনে থাকা ব্লকগুলির পঞ্চায়েত সমিতিও তাঁদের দখলে আসতো। কিন্তু তা হয়নি, সবই গিয়েছে তৃণমূলেরই(TMC) দখলে। মতুয়ারা মুখ ফিরিয়েছে বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এবার ২৪’র ভোটের(General Election 2024) আগেই মতুয়াদের ধর্মসমাজের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির বধূ মমতাবালা ঠাকুরকে(Mamata Bala Thakur) রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি(BJP)। কেননা এর পরের পদক্ষেপে যে মমতা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে(Shantanu Thakur) টানবেন না তার গ্যারেন্টি কী!

এর আগেও শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। শোনা গিয়েছিল তিনি তৃণমূলে যোগদান করবেন। সেই সময় মমতাবালাও সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এমনকি বনগাঁর স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। যদিও সেই রকম কিছু হয়নি। শান্তনু বিজেপিতেই থেকেছেন। নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য জোরালো ভাবে CAA’র পক্ষে সাওয়াল করেছেন। তৃণমূলের বিরোধিতাও করেছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে আর সেভাবে তৃণমূল বিরোধিতায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে না। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে পদ্মশিবিরেও। এমনকি শান্তনুকে বিজেপির কোনও কর্মসূচীতেই সেভাবে পাওয়া যায় না। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কিছুটা হলেও যোগাযোগ থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সেভাবে যোগাযোগও নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছিল, শান্তনু ভবিষ্যতে তৃণমূলে এলে মমতাবালার কী হবে। তিনি আগে বনগাঁ থেকেই তৃণমূলের সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল উপনির্বাচন। শান্তনু অবশ্য উনিশের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। শান্তনুকে আবারও সেইখানেই তৃণমূল প্রার্থী করলে মমতাবালা কী করবেন, সেই প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নের জবাব এদিন দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাবালা চললেন দিল্লি, রাজ্যসভার প্রতিনিধি হয়ে।

আর তারপরে পরেই নতুন করে জল্পনা ডানা মেলেছে বনগাঁর আকাশে। তাহলে কী ২৪’র ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই শান্তনু চলে আসছেন তৃণমূলে। হচ্ছেন কী ঘাসফুল প্রার্থী? নাকি বিজেপির হয়ে ভোটে জিতে তারপর জার্সি বদল? কোনও সম্ভাবনাই কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। কেননা রাজনীতি চিরকালই সম্ভাবনার খেলা। সেখানে আজ যে ঘোর শত্রু, কাল সে পরম মিত্র। তাই শান্তনু কোনওদিন তৃণমূলে আসবেন না, একথা জোর দিয়ে কেউ বলতে পারে না। পরিস্থিতি অনেক সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে দেয়। অস্বীকার করার উপায় নেই, শান্তনু ও মমতাবালা, দুইজনই এক শিবিরে এসে গেলে রাজ্যের মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কও তৃণমূলের কব্জায় চলে আসবে। ধাক্কা খেতে হবে বিজেপিকেই। কেননা তাঁরা নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্যত মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করে গিয়েছে গত ১০ বছর ধরে। মতুয়ারা আর তাই বিজেপির প্রতিশ্রুতিতে কান দিতে রাজী নন।

শান্তনু নিজেও সেটা জানেন ও বোঝেন। ২৪’র ভোটে তিনি যে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে ফের বনগাঁ থেকে জিতবেন তার গ্যারেন্টি কেউ তাঁকে দিতে পারবেন না। আর না জিতলে কেন্দ্রের মন্ত্রীও হওয়া যাবে না। মতুয়া ভোট হাতছাড়া হলে মোদি-শাহরা তাঁকে রাজ্যসভাতেও প্রার্থী করবেন না। তখন একটাই রাস্তা খোলা থাকবে জার্সি বদলের। আর সেই রাস্তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু হয়তো এর পরেও বলবেন, তিনি তৃণমূলে যাচ্ছেন না, বিজেপিতেই থাকবেন, বিজেপির হয়েই লড়াই করবেন, মোদির হয়েই প্রচার করবেন। কিন্তু এইসব তো বাবুল সুপ্রিয়ও বলেছিল। অর্জুন সিংও বলেছিল। কিন্তু শেষে সেই পাল্টিও খেয়েছিল। বাবুল ইস্তফে দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন। অর্জুন সেটাও করেননি, খাতায়কলমে আজও তিনি বিজেপিরই সাংসদ। তবুও বিজেপি থেকেই তিনি এখন যোজন যোজন দূরে। শান্তনুও যদি আগামী দিনে এই পথে হাঁটেন তাহলে অন্তত অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

Tags :
BJPGeneral Election 2024Mamata Bala ThakurMamata BanerjeeShantanu ThakurTmc
Next Article