সন্দেশখালির গ্রামে মানুষের কাছে দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক
নিজস্ব প্রতিনিধি,সন্দেশখালি: সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি জায়গা শনিবার ঘুরে দেখলেন এবং জমি হারা মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু(Minister Sujit Bose) ও সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।এবার সন্দেশখালি পরিদর্শনে রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক ।সন্দেশখালি এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভারপ্রাপ্ত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক(Minister Partha Bhowmick)। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানান যে, সমস্ত চাষের জমি কেটে ভেড়ি করা হয়েছিল, সেগুলো আবার চাষের জমিতে রূপান্তরিত করার কাজ করবে রাজ্য সরকার।
চাষিরা যাতে কোন রকম ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে নজর রাখছে রাজ্য সরকার। এদিন পার্থ ভৌমিক জানান, ২৫৮টি অভিযোগ দায়ের হয় জমি সংক্রান্ত বিষয়। শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দার জোর করে এই জমিগুলি দখল করেছিল। জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করেছিল চিংড়ি চাষ করে বেশি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে। এরমধ্যে ১০০ টিরও বেশি অভিযোগ মিটমাট বা সমাধান করা হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলো সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। এদিন সেচমন্ত্রী সন্দেশখালি যাওয়ার সময় সঙ্গে করে শেষ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের নিয়ে যান। যে খাল গুলি দিয়ে মেছো ভেড়িতে নদীর নোনা জল ঢোকাতো শিবু হাজেরা সেই খাল গুলির লক গেট সিল করে দেয় প্রশাসন। সন্দেশখালির(Sandeshkhali) পাত্র পাড়ায় দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন বলে জানান।
তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষকে আশ্বস্ত করেন যাতে কোনো রকম কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে রাজ্য সরকার নজর রাখবে আগামীদিনে। এদিকে,বসিরহাটের সন্দেশখালির এক নম্বর ব্লকের বেড়মজুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঠপুল বাজারে শনিবার খোলা হল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প(Police Camp)। পাশাপাশি জেলা পুলিশের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় খোলা হয় একাধিক অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র। সেখানে সাধারণ মানুষ লিখিতভাবে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন সমস্ত বিষয়ে। শনিবার সাত সকালেই দুয়ারে থানা দেখে স্বভাবতই খুশি গ্রামবাসীরা।