পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার
নিজস্ব প্রতিনিধি: পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত। আগে এই নিষেধাজ্ঞা আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বৈধ ছিল। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, সেক্ষেত্রে দেশে যাতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ সরবরাহ থাকে তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে সব জিনিসের। চরচরিয়ে দাম বাড়ছে পেঁয়াজেরও। সেই কারণে দেশে যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে পেঁয়াজ সরবরাহ থাকে সেই দিকেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানিতে টনপ্রতি ন্যূনতম রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে সরকার। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের প্রাপ্যতা বাড়ানো এবং তাদের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর সারা দেশে পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ৯৪.৩৯ শতাংশ বেড়ে ৫৭.৮৫ টাকা হয়েছে, যা এক বছর আগে ছিল ২৯.৭৬ টাকা কেজি। অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম যথাক্রমে ৫৮% এবং ৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎসবের মরসুমে এবং অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদনের এই সমস্যা।
গত কয়েক মাসে ভারতে গম, চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, যা ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের মুখোমুখি হবে।
গত আগস্টে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করে সরকার। অবাধ রফতানির ফলে শুল্ক হ্রাস পেয়েছিল। যার ফলে সরকার এটি বাতিল করে এবং পেঁয়াজের প্রতি মেট্রিক টনের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ৮০০ ডলার আরোপ করেছিল।
এ বছর মিশর ও তুরস্কের মতো প্রধান পেঁয়াজ রফতানিকারকরা পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। পাকিস্তানে পেঁয়াজের উৎপাদন কম, অন্যদিকে হল্যান্ডও আমদানির আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে ভারত সরকার কর্তৃক বারবার পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার কারণে, বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রফতানি বাজারে ভারতের অংশ মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।