OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

জীবন-মৃত্যুর সঙ্কটে বাংলার ১ লক্ষ যক্ষ্মারোগী, ত্রাতা সেই মমতাই

বাংলার লক্ষাধিক যক্ষ্মা রোগীদের জন্য কেন্দ্র সরকার ওষুধ পাঠানো বন্ধ করে দিল তো কী হল! এখনও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আছে মমতার সরকার। ত্রাতা মমতাই।
09:49 AM Apr 21, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় বিপদে মুখে বাংলা(Bengal)। জীবন-মৃত্যুর সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি যক্ষ্মারোগী(TB Patients)। তার থেকেও বড় বিপদ এই যক্ষ্মা এমন একটা রোগ যে ১জন রোগী থেকে ১০ সুস্থ মানুষও তাতে সংক্রমিত হতে পারেন। যার অর্থ যক্ষ্মায় আক্রান্ত এই ১ লক্ষ মানুষ দ্রুত সুস্থ না হয়ে উঠলে বাংলায় প্রায় ১ কোটি মানুষ এই রোগে সংক্রমিত হতে পারেন তাঁদের অজান্তেই। আর এই বিপদ ঘনিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের(Ministry of Health and Family Welfare of GOI) আলস্যতার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা Central TB Division বাংলায় যক্ষ্মা রোগের ওষুধ পাঠায়। অথচ সেই ওষুধ পাঠানোই কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। এই পরিস্থিতি চলছে প্রায় ৬ মাস ধরে। বাংলার স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র চূড়ান্ত অনিয়মিতভাবে এ রাজ্যে যক্ষ্মা রোগীদের ওষুধ পাঠাচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে বছরে গড়ে ১জন যক্ষ্মা রোগী থেকে ১০ জন মানুষ সংক্রমিত হয়ে পড়বেন। হু হু করে বাড়বে রোগ। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কানে গিয়েছে এবং তাঁর নির্দেশে রাজ্য সরকার স্থানীয়ভাবে ওষুধ কেনা শুরু করে দিয়েছে।  

বাংলায় এখন প্রায় ১ লক্ষ ২ হাজার যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই Drug Sensitive TB রোগী। এরা নির্ধারিত যক্ষ্মার ওষুধ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। সরকার সেই যক্ষ্মার ওষুধ বিনামূল্যেই সরবরাহ করে। বাকিরা হলেন Drug Resistant TB রোগী, যাদের হাতেগোনা কিছু ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দিলে তবেই তাঁদের রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সমস্যা হচ্ছে, যারা Drug Sensitive TB রোগী তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা যত, তার দ্বিগুণ সম্ভাবনা Drug Resistant TB রোগীদের ক্ষেত্রে। আর এই Drug Sensitive TB রোগীরা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যক্ষ্মার ওষুধ না পান তাহলে তাঁরা Drug Resistant TB রোগীতে পরিণত হবেন। আর Drug Sensitive TB রোগীদেরই ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা Central TB Division। তাঁরাই এখন সেই ওষুধ কার্যত চূড়ান্ত অনিয়মিত ভাবে পাঠাচ্ছেন।

মজা হচ্ছে, একদিকে কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত দেশ হিসাবে ঘোষণা করে দেওয়া হবে অথচ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে পারছে না। প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় যক্ষ্মার ওষুধ না পাঠানোটাও কী বঞ্চনার আরেক রূপ! তবে বাংলার লক্ষাধিক যক্ষ্মা রোগী যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এই রোঘ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে ও দ্রুত নির্মূল হয় তার জন্য পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে রাজ্যে জেলায় জেলায় স্থানীয়ভাবে ওষুধ কেনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং তা বিনামূল্যেই যক্ষ্মা রোগীদের কাছে সরবরাহ করাও হচ্ছে নিয়মিত ভাবে। যেখানে যক্ষ্মার ওষুধ নির্মাতারা চাহিদা অনুযায়ী রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে যক্ষ্মার ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না সেখানে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরগুলি ওষুধের দোকান থেকে যক্ষ্মার ওষুধ কিনে তা রোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

Tags :
bengalCentral TB Division.Mamata BanerjeeMinistry of Health and Family Welfare of GOITB Patients
Next Article