দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে রেডিওকে ব্যবহার করেছিলেন নেতাজি
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশবাসীকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য ও দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমকে হাতিয়ার করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সুদূর জার্মানিতে বসেই নেতাজি তৈরি করেছিলেন আজাদ হিন্দ রেডিও। এই রেডিও-এর মাধ্যমে বক্তৃতা দিয়ে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন নেতাজি।
কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকে নানা দেশ ঘুরে ১৯৪২ সালে নেতাজি হাজির হয়েছিলেন হিটলারের জার্মানিতে। তৎকালীন জার্মান সরকারের সহয়তায় বার্লিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজাদ হিন্দ রেডিও। ইংরাজি ছাড়া হিন্দি, তামিল, বাংলা, মারাঠি, পাঞ্জাবি, পুস্তু ও উর্দু ভাষায় সংবাদ প্রচারিত হয়। পাশাপাশি জার্মান ভাষাতেও খবর সম্প্রচারিত হত। রেডিওতে সঞ্চালনা ও বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মাত্র তিন মাসের চেষ্টায় জার্মান ভাষা শিখে নিয়েছিলেন নেতাজি। জার্মান ভাষাতে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি ও রুশ ভাষায় আজাদ হিন্দের লক্ষ্য ও কর্মসূচি জানাতেন নেতাজি। সেই বক্তৃতার ওপর নজর রাখতেন ব্রিটিশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ মিত্র শক্তির গুপ্তচররা।
হিটলারের জার্মানিতে প্রথম আজাস হিন্দ রেডিও-এর সদর দফতর তৈরি হওয়ার পর তা স্থানান্তরিত হয় সিঙ্গাপুরে। বার্লিন, সিঙ্গাপুরের পর রেডিও স্টেশন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় টোকিওতে। টোকিওতে রেডিও স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হরিপ্রভা মল্লিককে। জানা গিয়েছে. এই আজাদ হিন্দ রেডিও-এর বক্তৃতা থেকেই গান্ধীজিকে জাতির জনক হিসাবে আখ্যা দেন নেতাজি। পাশাপাশি রেডিওতে বক্তৃতা থেকেই জয় হিন্দ ও বন্দেমাতরম ধ্বনি শোনা গিয়েছিল নেতাজির গলায়।