ডিজি পদে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসাল নির্বাচন কমিশন
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি হলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তী ডিজি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিবেক সহায়কে। তিন জনের প্যানেলে সঞ্জয় মুখার্জি(Sanjay Mukherjee) নাম ছিল রাজ্যের পাঠানো তালিকায়।যেহুতু বিবেক সহায়ের(Vivek Sahay) কর্মজীবনের মেয়াদ ৩১ মে শেষ হচ্ছে,তাই বিকল্প হিসাবে সঞ্জয় মুখার্জির নামে সিলমোহর দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।মাত্র একদিনের দায়িত্ব নিয়ে আজকেই বিকেলে বিবেক সহায় তার দায়িত্ব সঞ্জয় মুখার্জিকে হস্তান্তর করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় এই দায়িত্ব হস্তান্তর হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,অপসারিত রাজীব কুমারের জায়গায় রাজ্য পুলিশের ডিজি হিসাবে বিবেক সহায়কে বেছে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেলেই নবান্নকে ১৯৮৮ সালের আইপিএস আধিকারিককে পরবর্তী ডিজি হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে রাজ্যের হোমগার্ডের ডিজি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন বিবেক সহায়।
সোমবার দুপুরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে(Rajeev Kumar) অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন সদন। সেই সঙ্গে পরবর্তী ডিজি হিসাবে তিন আইপিএস আধিকারিকের নামও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশের পরেই সিনিয়র তিন আইপিএসের নাম পাঠায় নবান্ন। ওই নাম থেকেই বিবেক সহায়কে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময়ে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় তাঁর নিরাপত্তা অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন বিবেক সহায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকার অভিযোগে নিরাপত্তা অধিকর্তার পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ওই সিদ্ধান্তে উষ্মাও প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই বিবেক সহায়কে ভোটের সময়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে নিয়োগ করায় অনেক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিকই বিস্মিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে অপসারিত রাজীব কুমারকে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পদে বদলি করে রাজ্য সরকার। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজীবকে। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ঘোষণার পর দুঁদে আইপিএস আধিকারিককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।