খুলে গেল ট্রেকিংয়ের নয়া রুট, মন খুলে ঘুরে আসুন দার্জিলিং থেকে
নিজস্ব প্রতিনিধি : মন ভরা প্রকৃতির আরেক নাম দার্জিলিং। সুন্দর পাহাড়ি জনপদে পরিপূর্ণ। অনেকে আছেন যারা দার্জিলিংয়ের অন্যরকম স্বাদ নিতে চান তাঁরা তো বটেই, সঙ্গে ট্রেকিংপ্রেমী মানুষদের জন্য রইল সুখবর। বিশেষ করে যারা দার্জিলিংয়ে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। আবার অনেকে আছেন যারা ছোট রুটে অল্প ট্রেকিং করতে চান। তাঁদের জন্য জিটিএ নিয়ে এল বিশেষ উদ্যোগ।
ট্রেকিং রুটের পরিমাপ ? প্রায় ১০ কিমি দীর্ঘ এই ট্রেকিং রুট। তবে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে চলতে হবে। যাওয়ার পথে একাধিক দ্রষ্টব্য জায়গা পড়বে। সেগুলিও দেখে আসতে পারেন। এককথায় মন ভরে যাবার মত জায়গা।
ট্রেকিং এর পথ : জানা গেছে ম্যাল সংলগ্ন চৌরাস্তা থেকে এই ট্রেকিং শুরু হবে। এই ট্রেকিংটি হবে সিদরাপংয়ে গিয়ে। এটা হল এশিয়ার প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেটা দেখার সুযোগও হবে এই যাত্রায়। সম্প্রতি এই ট্রেকিং রুটকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহের আর শেষ নেই।
আপনি যদি পাহাড়ে বেড়াতে যেতে চান তবে এই ট্রেকিং রুটের সঙ্গী হতে পারেন আপনিও। এই ছোট ট্রেকিং রুটে যেতেই পারেন। বেশ ভালো লাগবে। কুয়াশায় মোড়া সেই পথ। ট্রেকিং রুটের চারিদিকে চারপাশে যে প্রাকৃতিক দৃশ্য তা একেবারে মন ভালো করে দেবে। জঙ্গলের মধ্যে দিয়েও রাস্তা আছে। সিদরাপংয়ে ট্রেকিং শেষ হওয়ার পথে সেখান থেকে গাড়িতে করে পর্যটকদের হোটেলে ফেরানো ব্যবস্থা করা হবে।
দর্শনীয় স্থান : ম্যালের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে ক্যাপিটাল হলের উপরের রাস্তা দিয়ে এগোতে হবে। পথে পড়বে তিব্বতীয় মিউজিয়াম।এরপর সার্কিট হাউজের রাস্তা ধরে তেনজিং নোরগের বাড়ি পড়বে। সেখান থেকে আভা আর্ট গ্যালারির পাশ দিয়ে, বর্ধমানের মহারাজার বাড়ি দেখে নেওয়া যাবে। এবার নীচের দিকে নামতে হবে। এরপর শিবখোলা ইকো ক্যাম্প। সেখানে চা খেয়ে আবার হাঁটতে থাকুন। এরপর আর্য চা বাগান হয়ে সিদরাপং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। অসাধারণ এই দৃশ্যটি আপনিও উপভোগ করতে পারেন।
খরচ : তবে মাথাপিছু ২০০০ টাকা করে নেওয়া হবে। সবথেকে কম তিনজনকে নিয়ে ট্রেকিং করা হবে। শুধু তাই নয় সর্বোচ্চ ১০জন থাকতে পারেন। সঙ্গে থাকবে ট্যুরিজম বিভাগের একজন গাইডও। তিনি আপনাকে গাইড করে নিয়ে যাবেন।