চড়কাণ্ডে এবার সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ নিউটাউনের রেস্তরাঁর মালিক
নিজস্ব প্রতিনিধি: রেস্তরাঁর মালিককে চড় মারার ঘটনা এবার আদালতে পৌঁছল। গত সপ্তাহে নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় শুটিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। আর সেখানেই শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে প্রথমে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁর মালিকের বচসা বাধে। বচসার সময় সোহমকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবী করা হয়। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই পাত্তা না দিয়ে বচসা চালিয়ে যান রেস্তরাঁর মালিক। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন সোহম চক্রবর্তী এবং হস্তক্ষেপ করেন। ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে ওই রেস্তোরাঁর মালিক কথা বলায় সোহম খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে যান। এবং রেগে গিয়ে রেস্তরাঁর মালিককে চড় মারেন সোহম।
এমনকী তাঁকে লাথি মারারও অভিযোগ আনেন রেস্তরাঁর মালিক। এই ঘটনাটি ভাইরাল হতেই সোহমকে নিয়ে অনেকেই নিন্দা করেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে সোহমের এই আচরণ মোটেও পছন্দ হয়নি অনেকের। যদিও অভিনেতা পরে ঘটনাটি নিয়ে লজ্জিত বোধ করেন। এবং ভিডিও বার্তায় তাঁর এই আচরণের জন্যে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং সোহমের এই চড়কাণ্ড নিয়েই রাজ্য-রাজনীতি উত্তপ্ত। ওই রেস্তরাঁর মালিক ইতিমধ্যেই সোহমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপ না করায় এবার সেই মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই রেস্তরাঁর মালিক। হাইকোর্টে মামলা করলেন। রেস্তরাঁর মালিক আনিসুলের আইনজীবীর দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন ওই জনপ্রতিনিধি।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। আর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। আগামী শুক্রবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেদিনের সেই ঘটনাটি পুরোটাই হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এদিকে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে সোহম বলেন, অভিষেককে (বন্দ্যোপাধ্যায়) নিয়ে গালাগালি করেছে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই চারটে চড় মেরেছেন। ধাক্কা দিয়েছেন। অভিনেতারাও মানুষ। তাঁদেরও আবেগ আছে। এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে সোহম বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি তাঁর। তবে সোহম আরও দাবি করেছেন যে, ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছেন ওই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ, তাতে শুধু তাঁর মারমুখী চেহারাটাই দেখা যাচ্ছে। রেস্তরাঁর মালিক অভদ্র ব্যবহারের দৃশ্য একেবারেই ফুটে ওঠেনি সেখানে। বরং রেস্তরাঁর মালিক তাঁর দেহরক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন এবং মারধর করেছিলেন।