For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গৌরাঙ্গনগরে ১০ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে, উদ্ধার করল পুলিশ

07:09 PM Apr 23, 2024 IST | Subrata Roy
গৌরাঙ্গনগরে ১০ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে  উদ্ধার করল পুলিশ
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি,গৌরাঙ্গনগর : দীর্ঘ দশ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে। প্রশাসনের সাহায্যের অপেক্ষায় পরিবার। মানসিক রোগের স্বীকার  দুই ভাই।জেলায় মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনা নজরে আসে। কিন্ত নিউটাউন স্মার্ট সিটিতে(Newtown Smart City) এবার নজরে এল এমন করুন চিত্র।নিউটাউন গৌরাঙ্গনগরের(GourangaNagar) ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি নির্মল মন্ডল ও নমিতা মন্ডল এর দুই ছেলে শ্রীপদ মন্ডল ও সুজিত মন্ডল। এই দুই ছেলে দশ বছর ধরে ঘরের মধ্যে তালা বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের দাবি, ২০ বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলো। এর পর তাদের বিয়ে ও দেওয়া হয়।

Advertisement

কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাদের বৌ ছেড়ে চলে যায়। তার পর থেকে তারা আরো অসুস্থ হয়ে পরে। তাদেরকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে এলাকার লোকদের মারধর করে। পরিবার তাদের চিকিৎসা করতে থাকে কিন্তু তারা আরো উগ্র হয়ে ওঠে। অবশেষে কিছু বুঝতে না পেরে তাদের ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মাঝে তাদের চিকিৎসা করতে থাকে। কিন্তু বাবা মায়ের অভিযোগ তারা আর চিকিৎসার খরজ বহন করতে পারছে না। মা লোকের বাড়ি কাজ করে কোনো রকমে খাওয়াটা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই ছেলে কে দুটি ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় রেখে দিয়েছেন। গ্রিলের দরজার তলা দিয়ে খাবার দেওয়া হত। ঘরের মধ্যে না আছে পাখা না আছে লাইট। সেগুলো লাগালে ভেঙে দেয় তারা। ভয়ে কেউ দরজার তালা ও খুলতে যায় না।

Advertisement

সেই কারণে এই বৃদ্ধ দম্পতি এখন প্রশাসন ও সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছেন। যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয় তবে তারা উপকৃত হয়। এ বিষয়ে রাজারহাট নিউ টাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়(Tapas Chatterjee) জানান তিনি বিষয়টি জানতেন না। কিন্তু বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। একই সঙ্গে বিডিও(BDO) অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ওই দুই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। এর সমস্ত খরচা তিনি বহন করবেন। তিনি আশা রাখেন ওই দুই যুবক অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন।

Advertisement
Tags :
Advertisement