ছিঁচকে চোরের উপদ্রবে আতঙ্কিত নিউটাউনবাসী, চোর ধরতে নাকাল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,নিউটাউন: ছিঁচকে চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ নিউটাউনের আবাসিকরা। থানাকে অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না সুরাহা ।প্রাণহানির আশঙ্কায় নিউটাউনবাসী।ইদানিং কালে নিউটাউন জুড়ে ছিঁচকে চুরি থেকে নানা ধরনের অসামাজিক কাজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নিউটাউনের আবাসিকরা । ইতিমধ্যে নিউটাউন এ এল, এ কে, এ আই ব্লকের বেশ কিছু আবাসন থেকে চুরির(Bugglary) ঘটনা রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে কখনো আবাসনে থাকা বাইক থেকে পেট্রোল চুরি হোক বা আসবাবপত্র কিংবা সাইকেল চুরি ঘটনা ঘটছে অনবরত। আবাসিকরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজ পুলিশকে দিলেও পুলিশ শুধু অভিযোগ নিয়ে দায় সারা মনোভাব দেখাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করছেন নিউটাউনের(Newtown) আবাসিকরা।
আবাসিকদের দাবি পুলিশের সংখ্যা নাকি কম তাই চোর ধরা সম্ভব হচ্ছে না বলে নিউটাউন থানার পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি হিসেবে তাদেরকে জানানো হয় । তবে পুলিশের এই মনোভাবের কারণে বড় কোন বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নিউটাউনের আবাসিকরা । তাদের দাবি অবিলম্বে এই ছিঁচকে চুরি সহ অন্যান্য বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করুক পুলিশ। না হলে নিউটনে থাকা মানুষের কাছে খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে। বিধাননগর কমিশনারের অন্তর্গত নিউটাউন স্মার্ট সিটি ক্রমশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। সম্প্রতি বিধান নগর কমিশনারেটের কমিশনার গৌরব শর্মাকে অপসারিত করা হয়েছে। ওই পদে এসেছেন নয়া পুলিশ কমিশনার(CP) মুকেশ কুমার। কিন্তু নিউটাউন রাজারহাট বাগুইআটি, ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানা, বিধাননগর উত্তর ও দক্ষিণ থানা অপরাধ দমনে উপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ করতে না পারায় মুখ পুড়ছে বিধান নগর কমিশনারেটের।
বাগুইআটি থানার(Baguiati P.S.) অন্তর্গত অশ্বিনী নগর, জগৎপুর বাজার, আদর্শপল্লি, জ্যোতিনগর, যাত্রাগাছি এসব এলাকায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে অপরাধের ঘটনা। প্রকাশ্য রাস্তায় গাঁজা, মদের আসর বসছে। রাত হলেই মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম বাড়ছে। আদর্শপল্লী পুলিশ ফাঁড়ির(Adarshapally Police Fari) ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জগৎপুরবাজার(Jagatpur Bazar) সংলগ্ন ব্রিজে যে কজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশ কনস্টেবলরা থাকেন তারা ব্যস্ত থাকেন মাথা নিচু করে সবসময় মোবাইল ঘাটতে। ফলে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এলাকায় একাধিক জায়গায় নেই আলোর ব্যবস্থা। ক্রমাগত এসব এলাকা অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠছে। অথচ নেই সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি।