গপ্পো বাজেটে আয়কর কাঠামোয় বদল আনলেন না নির্মলা
নিজস্ব প্রতিনিধি: শান্তিনিকেতনী নীল রঙের কাঁথাস্টিচের তসর শাড়িতে তিনি এলেন সংসদ ভবনে। লক্ষ্য ছিল তাঁর ২৪’র ভোটের(General Election 2024) আগে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট(Interim Budget) পেশ। কিন্তু দেখা গেল যত না তিনি বাজেট পেশ করলেন তার থেকে ঢের বেশি গপ্পো শোনালেন। এই হয়েছে, ওই হয়েছে, এই হবে আর ওই হবে। জনগনের পকেট মাঝে থেকে ফাঁকাই থেকে গিয়েছে। আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল না এলে কার্যত তিনি দেশের মানুষের ওপর আয়করের(Income Tax) বোঝাই চাপিয়ে রাখলেন। বাড়তি ছাড়ের পথে হাঁটা দিলেন না। একনজরে এটাই ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের(2024-25 Financial Year) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের(Nirmala Sitaraman) পেশ করা বিভ্রান্তিকর গপ্পোগাথার অন্তর্বর্তী বাজেট।
এদিন সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় নির্মলা অনেক গপ্পো বুনেছেন। যেমন, ‘আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল আসছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। সেগুলির সময়সীমা আরও বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হচ্ছে। ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হয় না। খুচরো বিক্রেতাদের আয়করের উর্ধ্বসীমা ২ কোটি থেকে ৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ কর অনেক বেড়েছে। আয়কর জমা দেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৪ গুণ। বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে। আমরা এর জন্য বিদেশি বন্ধুদের সুবিধা দিচ্ছি। আমরা বিকশিত ভারতের কথা ভাবছি। ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে যাতে মাইলস্টোনগুলি টপকানো যায়। আমাদের এখানে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে তার মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ইতিমধ্যেই ৩ কোটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে আরও ২ কোটি বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। মধ্যবিত্তদের জন্যও এবার মিলবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আগামী ৫ বছরে তৈরি হবে ২ কোটি বাড়ি।’
আর কী বলেছেন নির্মলা? জানিয়েছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির আমলে দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এর ফলে এক কোটি মহিলা স্বনির্ভর হয়েছেন। ‘লাখপতি দিদি’র সংখ্যা দু’কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। ৮৩ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে দেশে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনা ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। আমরা দেশের পূর্বাঞ্চলকে বৃদ্ধির আওতায় আনতে চাই। পূর্বাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। আবাস যোজনায় তিন কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আর দু’কোটি বাড়ি তৈরি হবে আগামী পাঁচ বছরে। এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে এক দেশ এক কর ব্যবস্থা লাগু করা গিয়েছে। জিএসটির কার্যকর করার ফলে বেড়েছে আয়। শেষ ১০ বছরে আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে।’